অনিল অম্বানী।—ফাইল চিত্র।
সময়সীমা ছিল মঙ্গলবার পর্যন্ত। তার একদিন আগে সুইডিশ টেলিকম সংস্থা এরিকসন ইন্ডিয়ার বকেয়া ৪৬২ কোটি টাকা মিটিয়ে দিল অনিল অম্বানীর রিল্যায়ান্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আরকম) সংস্থা। সোমবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তা নিশ্চিত করেছেন এরিকসন ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র।
ইচ্ছাকৃতভাবেই অনিল অম্বানী এরিকসনের টাকা মেটাচ্ছেন না বলে গত মাসে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯ মার্চের মধ্যে এরিকসনের ৪৫০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছিল রিল্যায়ান্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং সংস্থার দুই ডিরেক্টরকে। নইলে তিন মাসের জন্য অনিল অম্বানীকেসিভিল জেলে পোরা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। তবে আদালত নির্ধারিত সময় অতিক্রম হওয়ার একদিন আগেই এরিকসনের টাকা মিটিয়ে দিয়েছে রিল্যায়ান্স। তাই আর জেলে যেতে হচ্ছে না অনিল অম্বানীকে।
গত কয়েক বছর ধরে রিল্যায়ান্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সঙ্গে এরিকসনের ঝামেলা চলছিল। ২০১৪ সালে দুই সংস্থার মধ্যে ৭ বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যাতে সারা দেশে রিলায়্যান্সের টেলিকম নেটওয়ার্ক সামলানোর ভার হাতে পায় এরিকসন। কিন্তু ২০১৪ থেকে তাদের পাওনা ১৫০০ কোটি টাকা মেটানো হয়নি বলে গতবছর ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপীলেট ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলএটি)-এর দ্বারস্থ হয় এরিকসন। সেখান থেকে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। যার পর ঋণের দায়ে ধুঁকতে থাকা রিলায়্যান্সের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে রাজি হন এরিকসন কর্তৃপক্ষ। ১৫০০ কোটির বদলে ৫৫০ কোটিতে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে সম্মত হয়। ৩০ মে-র শুনানিতে ১২০ দিনের মধ্যে রিলায়্যান্সকে টাকা মিটিয়ে দিতে বলে আদালত। সেই মতো ৩ অগস্ট রিলায়্যান্সকে ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রিতেও অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারে আকাশপথের নেতারাও এ বার কমিশনের নজরে
আরও পড়ুন: চৌকিদার রাখেন বিত্তশালীরা, গরিব মানুষের সে সাধ্য নেই, এ বার মোদীকে কটাক্ষ প্রিয়ঙ্কার
কিন্তু সম্পত্তি বিক্রি হয়ে গেলেও বকেয়া মেটায়নি অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স। তার জেরে ২৩ অক্টোবর ফের আদালতের দ্বারস্থ হন এরিকসন কর্তৃপক্ষ। যার পর রিলায়্যান্সকে সতর্ক করে দেয় আদালত। ২০১৮-র ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই সুদ সমেত টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বলে জানায়। তার পরও টাকা হাতে না আসায় অনিল অম্বানী ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফের শীর্ষ আদালতে যায় তারা। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই মামলার শুনানিতে দোষী সাব্যস্ত হন অনিল অম্বানী। চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
(গাড়ি থেকে বাড়ি, সোনা থেকে শেয়ার, বিমা থেকে মিউচুয়াল ফান্ড - বিনিয়োগের সাতকাহন আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)