ছবি- শাটারস্টকের সৌজন্যে।
ভারতে আর্থিক ঝিমুনি অন্ধকারে তাড়াতাড়ি আলোর দিশা পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমল। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম আরও বেড়ে গেল পাইকারি বাজারে। ২০১৪-র মে মাসের পর সর্বাধিক। ফলে, সেগুলি আমজনতার ধরাছোঁয়ার নাগালের বাইরে চলে গেল আরও বেশি।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম মাসেই দেশে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার। হয়েছে ৩.১ শতাংশ। তার এক মাস আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে যে হার ছিল ২.৫৯ শতাংশ।
বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি মূল্যের সূচক (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা ‘ডব্লিউপিআই’) দিয়েই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) নিয়মিত মাপে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার। আর্থিক নীতি প্রণয়নের জন্য।
আরও পড়ুন- মূূল্যবৃদ্ধি সাড়ে পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি, মোদীর স্বপ্নে কই বাস্তবের হিসেব!
আরও পড়ুন- ফের কড়া বার্তা নেট বাজারকে
আরবিআইয়ের পূর্বাভাস ছিল, চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়াবে ২.৫০ শতাংশে। যদিও গত ডিসেম্বরেই তা ছাপিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২.৫৯ শতাংশে। এক বছর আগে এই সময় (২০১৮-র ডিসেম্বর- ২০১৯-এর জানুয়ারি) ভারতে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২.৪৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, গত ডিসেম্বরের তুলনায় দেশে পাইকারি খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে এ বছরের জানুয়ারিতে। ডিসেম্বরে এই হার ছিল ১১.০৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে হয়েছে ১০.১২ শতাংশ।