গত এপ্রিলে দেশে বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি কমে গিয়েছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫%। প্রতীকী ছবি।
গত এপ্রিলে দেশে বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি কমে গিয়েছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫%। তার আগের মাস, অর্থাৎ মার্চের নিরিখে বিচার করলে তা ৪১% সঙ্কুচিত হয়েছে। তবু পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধির আশায় ভরে করে চলতি অর্থবর্ষে ভারতে এই ধরনের গাড়ির ব্যবসা ৭%-১০% বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে মূল্যায়নসংস্থা ইক্রা।
মূল্যায়ন সংস্থাটির ব্যাখ্যা, প্রথমে আর্থিক ঝিমুনি এবং তার পরে করোনায় দেশের বাজারে সমস্ত গাড়ির পাশাপাশি বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রিও ধাক্কা খেয়েছিল। তবে এখন পরিকাঠামোয় লগ্নির ফলে এই ধরনের গাড়ির বিক্রি বাড়তে পারে। একই সঙ্গে গাড়ি বাতিলের নীতির (স্ক্র্যাপেজ পলিসি) হাত ধরে যেমন নতুন গাড়ির চাহিদা তৈরি হবে, তেমনই ছন্দে ফিরতে থাকা খনি শিল্প ও নির্মাণ ক্ষেত্রও বিক্রিতে ইন্ধন জোগাবে। বস্তুত, গত মাস থেকেই চালু হয়েছে গাড়ি বাতিলের নীতি। ইক্রার কর্পোরেট সংস্থার মূল্যায়ন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিঞ্জল শাহের বক্তব্য, এর প্রভাবও সবচেয়ে বেশি পড়ার সম্ভাবনা বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে। বিশেষ করে যাত্রিবাহী বাণিজ্যিক গাড়িতে। তবে ১৫ বছরের বেশি পুরনো দু’চাকা এবং যাত্রিগাড়িতে সীমিত প্রভাব পড়বে।
উল্লেখ্য, অতিমারির পরে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি নতুন নজির গড়লেও চাকা ঘোরেনি দু’চাকার ব্যবসার। কম দামি যাত্রিবাহী গাড়ির বাজারেও ভাটার টান। আর বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রিবাটা ওঠাপড়ার মধ্যেদিয়ে চলেছে।