প্রতীকী ছবি।
ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনগুলিতে দেশের প্রতিটি গ্রাহককে যে অধিকার দেওয়ার কথা লেখা আছে, ই-কমার্স সংস্থাগুলি তা মানছে না বলে ফের অভিযোগ উঠল। তাদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। আদালতের কাছে এমন নির্দেশ জারির আর্জি জানালেন মামলাকারী, যাতে ওই সব সংস্থা বিক্রি হওয়ার জন্য মজুত পণ্যের বিক্রেতার নাম, সেটি প্রস্তুতকারকের দেশ এবং বিক্রির সর্বোচ্চ দাম (এমআরপি) স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে বাধ্য হয়। মামলার শুনানি হতে পারে পরের সপ্তাহে।
করোনাকালে মানুষ যখন নেট বাজারের উপর বেশি করে নির্ভরশীল হতে শুরু করেছেন, তখন ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে একাধিকবার বেআইনি ভাবে ক্রেতা টানার অভিযোগ তুলেছেন ইঁট-কাঠ-পাথরের দোকান চালানো খুচরো ব্যবসাদারেরা। বিক্রি বাড়াতে দাম কমিয়ে দেখিয়ে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে বলে তোপও দেগেছে তাঁদের সংগঠন। সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত নীতি এনে নেট ও সাধারণ বাজার-দোকানের সমান ভাবে ব্যবসা করার জমি তৈরির দরবার করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এই অবস্থায় দিল্লির আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করলেন গাজিয়াবাদের বাসিন্দা অজয় কুমার সিংহ। তাঁর দাবি, ই-কমার্স সংস্থাগুলির সাইট থেকে নিয়মিত জিনিস কেনেন তিনি। সেই সূত্রেই গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, ক্রেতা সুরক্ষা (ই-কমার্স) এবং পণ্যের বৈধ পরিমাপ সংক্রান্ত (প্যাকেটবন্দি পণ্যগুলির) বিধি বাধ্যতামূলক ভাবে সংস্থাগুলিকে যে সমস্ত বিষয় মেনে চলতে বলেছে, সেগুলি পালন করছে না তারা। পণ্যের এমআরপি, নির্মাতা দেশ ও বিক্রেতার তথ্য স্পষ্ট লেখা না-থাকায় অসুবিধায় পড়ছেন ক্রেতারা। বেশি খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিযোগকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আবেদনে সিংহের দাবি, এই সব তথ্য নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেলে অর্থনীতিকে ফল ভুগতে হতে পারে। কারণ, কোনও জিনিসে এমআরপি না-লেখা থাকলে ক্রেতারা বেশি দামে সেটি কিনতে বাধ্য হবেন। পণ্য কেনার সময় উৎপাদক বা বিক্রেতার তথ্য না-জানা থাকলে, ক্রেতার অধিকার লঙ্ঘিত হবে। সিংহের দাবি, তাঁদের যাতে ভুগতে না-হয়, সে জন্য কেন্দ্র, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক, খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রককে সাইটে পণ্য বিক্রির সময় সেগুলি উল্লেখের নিয়ম বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিক আদালত।