BGBS 2023

ছোট শিল্পে বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে কটাক্ষ রাজ্যকে

এর আগেও অ্যাবেকা এই অভিযোগ করেছিল। বিজিবিএসের পরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস ফের জানিয়েছেন, আগে ক্ষুদ্র শিল্পের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ন্যূনতম চার্জ দিতে হত না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০২
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

বরাবরের মতো সদ্য অনুষ্ঠিত বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনেও (বিজিবিএস ২০২৩) ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পকে (এমএসএমই) বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার তা নিয়ে কটাক্ষ করল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকা। তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ব্যবহারের ন্যূনতম মাসুল হার বিশেষত ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের উপরে নতুন করে চাপানোয় তাদের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়েছে। রাজ্য মুখে এমএসএমই-র জন্য নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও, আখেরে এমন পদক্ষেপ এই ক্ষেত্রে বহু সংস্থাকে ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

Advertisement

এর আগেও অ্যাবেকা এই অভিযোগ করেছিল। বিজিবিএসের পরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস ফের জানিয়েছেন, আগে ক্ষুদ্র শিল্পের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ন্যূনতম চার্জ দিতে হত না। কিন্তু এখন মাসে প্রতি কেভিএ-তে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ফলে গত তিন মাসে কয়েক হাজার সংস্থা বাড়তি বিদ্যুতের আর্থিক বোঝা টানতে না পেরে ঝাঁপ বন্ধ করেছে। আগামী দিনে আরও অনেকে সংযোগ ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। অথচ শিল্প সম্মেলনে দু’দিন ধরে সরকারি অর্থ খরচ করে এমএসএমই-কে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলছে রাজ্য! যা নিন্দনীয় এবং ধ্বংসাত্মক। আরও বহু ছোট সংস্থাকে রক্ষা করতে অবিলম্বে ১০৮ ধারা প্রয়োগ করে ওই মাসুল নির্দেশিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, নোটবন্দি, জিএসটি চালু, অর্থনীতির ঝিমুনি হয়ে কোভিড— একের পর এক আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে এই শিল্প। হালে সমস্যা বাড়িয়েছে চড়া মূ্ল্যবৃদ্ধি ও শ্লথ
রফতানি। তার উপর ঋণের সুদ এখন চড়া। সব মিলিয়ে পুঁজি জোগাড়ের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে বহু ছোট সংস্থা। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় নতুন করে ধাক্কা বিদ্যুতের বাড়তি খরচ। তাই দানা বাঁধছে ক্ষোভ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement