— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পরিচালন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমছিল অনেক দিন ধরে। এ বার প্রতিবাদে কার্যত গণছুটিতে গেলেন টাটা গোষ্ঠীর সস্তার উড়ান পরিষেবা সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বেশ কয়েক জন কেবিন ক্রু সদস্য। তার ফলে মঙ্গলবার থেকে আজ রাত পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি উড়ান বাতিল হয়েছে। সময়ে রওনা হতে পারেনি আরও বেশ কয়েকটি বিমান। চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বিমানবন্দরে অপেক্ষারত কয়েক হাজার যাত্রী। সংস্থার কাছে রিপোর্ট চেয়েছে বিমান মন্ত্রক। অবস্থা স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপেরও নির্দেশ দিয়েছে তারা।
সবচেয়ে বেশি উড়ান বাতিল হয়েছে কোচি, কালিকটের মতো কেরলের বিমানবন্দরগুলিতে। অধিকাংশ যাত্রীরই পেশার জন্য উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। তাঁরা পড়েছেন চূড়ান্ত বিপদে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী জানান, যমজ সন্তান এবং স্বামীকে নিয়ে কন্নুর থেকে শারজায় যাওয়ার জন্য এসেছেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ ১০ মে-র টিকিট দিতে চাইছেন। অথচ এতে কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন। বিঘ্নিত হয়েছে দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর পরিষেবাও। বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। সংস্থার বক্তব্য, উড়ান সময়মতো চলছে কি না, তা জেনে বিমানবন্দরে আসার জন্য যাত্রীদের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। যাঁদের উড়ান বাতিল হয়েছে, তাঁদের পুরো ভাড়া ফেরত কিংবা সময়সূচি পিছিয়ে পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের বড় অংশের প্রশ্ন, তাতে কী লাভ হবে?
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, দিন কয়েক আগে বিমানচালকের অভাবে টাটা গোষ্ঠীর আর এক সংস্থা বিস্তারার পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। দিনে ২৫-৩০টি করে উড়ান বাতিল করতে হচ্ছিল তাদের। এর ফলে অন্যান্য বিমানের ভাড়া বেড়ে যায়। তাতেও বহু মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছিল। সংস্থা সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে এআইএক্স কানেক্টের (সাবেক এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়া) সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন নামে নথিভুক্ত একটি কর্মী সংগঠনের অভিযোগ, সংস্থা পরিচালনায় দীর্ঘ দিন ধরে অব্যবস্থা চলছে। কর্মীদের মধ্যেও বৈষম্য করা হচ্ছে। এর পরে মঙ্গলবার রাতে অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে প্রায় ২০০ জন কর্মী কাজে যোগ দেননি। ফোনেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
অবিলম্বে পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি তুলেছেন কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল এবং সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম। বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে চিঠি লিখেছেন তারা
সংবাদ সংস্থা