প্রতীকী ছবি।
মোদী সরকার যখন অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ স্পষ্ট বলে দাবি করছে, ঠিক তখনই চলতি অর্থবর্ষে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)। এপ্রিলে তাদের অনুমান ছিল ওই হার দাঁড়াবে ১১%। এ বার তা-ই কমিয়ে ১০% করল তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা চালানোর পরে কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় আর্থিক কর্মকাণ্ডের বিপর্যস্ত দশাকে।
এ দিকে, এডিবি-র পূর্বাভাস কমানোর দিনেই এক অনুষ্ঠানে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, আগামী দিনে স্থায়ী ভাবে বৃদ্ধির হারকে উপরের দিকে রাখতে হলে পরিকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রগুলিতে জোর দিতে হবে ভারতকে। সেই সঙ্গে নজর দিতে হবে কাঠামোগত সংস্কার, সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং তার হাত ধরে কাজের সুযোগ তৈরির দিকেও। উল্লেখ্য, জুনে শীর্ষ ব্যাঙ্কও এই অর্থবর্ষে ৯.৫% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।
রিপোর্টে এডিবি-র দাবি, অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছিল ঠিকই। কিন্তু তা বানচাল করে মে মাসে ফের বাড়তে থাকা সংক্রমণ। এটা ঠিক যে, দ্বিতীয় ঢেউ আশঙ্কার চেয়ে তাড়াতাড়ি কমেছে। যে কারণে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন এবং বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু ততদিনে ফের ধাক্কা খেয়েছে চাহিদা, পরিষেবা এবং শহুরে অসংগঠিত ক্ষেত্র। তবে ভারতে এডিবি-র কান্ট্রি ডিরেক্টর তাকেও কোনিশি বলেছেন, অর্থনীতিতে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মিলছে। তাতে আরও গতি আনছে টিকাকরণ উদ্যোগ, নতুন আর্থিক ত্রাণ প্যাকেজ, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মজবুত করার পদক্ষেপ।