গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
ফের জল্পনা পেটিএমকে ঘিরে। সংবাদমাধ্যমের খবর, তাদের মূল সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশন্স-এর অংশীদারি কিনতে কথা চালাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। ইতিমধ্যেই এ জন্য গুজরাতে গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির সঙ্গে দেখা করেছেন পেটিএমের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মা। এই অধিগ্রহণ শেষ পর্যন্ত সত্যি হলে মুকেশ অম্বানীর পথে হেঁটে আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে পা রাখবেন গৌতম আদানি। পাল্লা দেবেন গুগ্ল পে, ভারতপে, ফোনপে-র মতো আর্থিক পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে। যদিও এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছে পেটিএম এবং আদানিরা। জানিয়েছে, এ রকম কোনও কথা তারা বলছে না। তবে পেটিএমের বর্তমান আর্থিক অবস্থা যা, তাতে সংস্থাটি আগামী দিনে বিক্রি হওয়া আশ্চর্যের নয় বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষত ফেব্রুয়ারিতে যখন মুকেশের জিয়ো ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস পেটিএমকে হাতে নিতে পারে বলে খবর ছড়িয়েছিল। যদিও সে বারও তা স্বীকার করেনি কোনও পক্ষ। এই আলোচনার খবরে অবশ্য পেটিএমের শেয়ার দর বুধবার বেড়েছে প্রায় ৫%।
বেআইনি লেনদেন ঘিরে আশঙ্কা ও নো ইয়োর কাস্টমার (কেওয়াইসি) বিধি লঙ্ঘনের কারণে ফেব্রুয়ারিতেই পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপরে বিভিন্ন বিধিনিষেধ চাপিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। যার অধীনে ব্যাঙ্কটিকে একাধিক পরিষেবা দিতে বারণ করেছিল আরবিআই। এই ঘটনার পরে পেটিএমের শেয়ার দর বিপুল পড়েছে। মুছে গিয়েছে তাদের অর্ধেক বাজার দর। গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৫৫০ কোটি টাকা লোকসানের কথা ঘোষণা করেছে সংস্থা। ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার জেরে মুছে ফেলেছে পেমেন্টস ব্যাঙ্কটির ৩৯% হাতে নিতে করা ২২৭ কোটি টাকার লগ্নিও। তার পর থেকেই সংস্থাটি বিক্রি হয়ে যেতে পারে বলে খবর ছড়িয়েছে। যদিও আজ বিক্রি নিয়ে আলোচনার খবর অস্বীকার করে ওয়ান৯৭ জানিয়েছে, ‘‘এই খবর জল্পনা মাত্র। সংস্থা এ সংক্রান্ত কোনও ধরনের আলোচনার সঙ্গে যুক্ত নয়।’’ আলাদা বিবৃতিতে আদানিরা বলেছে, ‘‘জল্পনা ভিত্তিহীন। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সম্প্রতি আদানিদের বিরুদ্ধে কম দামে কয়লা আমদানি করে বেশি দাম দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। বিতর্ক বেড়েছে তারা আরও বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর হাতে নেওয়ার আগ্রহ দেখানোয়। এই অবস্থায় পেটিএম সত্যি কিনলে তাদের বিপুল গ্রাহকও আসবে আদানিদের হাতে। আবারও একটি নতুন ক্ষেত্রে পা রাখবেন গৌতম। আপাতত তা-ই পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তাতেই চোখ সকলের।