আদানিদের নজরে এ বার জাপানের বাজার। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেশে তাদের নিয়ে যত বিতর্কই থাক, বিদেশে আদানি গোষ্ঠীর বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ চলছেই। সম্প্রতি আদানিদের সংস্থা আদানি গ্লোবাল পিটিই লিমিটেড বহুজাতিক সংস্থা কোয়া হোল্ডিংস এশিয়া পিটিই লিমিটেডের সঙ্গে গ্রিন অ্যামোনিয়া এবং গ্রিন হাইড্রোজেন নিয়ে একটি চুক্তি করল। এই চুক্তি অনুযায়ী, দুই সংস্থা জোটবদ্ধ হয়ে জাপান, তাইওয়ান এবং হাওয়াইতে গ্রিন হাইড্রোজেন-জাত পণ্যের বিপণন করবে।
আদানি গোষ্ঠীর সংস্থা আদানি নিউ ইন্ডাস্ট্রিজ় লিমিটেড (এএনআইএল) বিশ্ব জুড়ে গ্রিন হাইড্রোজেন এবং এই গ্রিন হাইড্রোজেন-জাত পণ্যের উৎপাদন করে। এএনআইএল ইতিমধ্যেই গুজরাতে বছরে ১০ লক্ষ মেট্রিক টনের গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের কারখানা তৈরি করছে, যা ২০২৭ অর্থবর্ষ থেকে উৎপাদন শুরু করবে। পরবর্তী ১০ বছরে এই কারখানায় উৎপাদনের পরিমাণ ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন করতে চায় আদানিরা। সেই জন্য চার লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করবে আদানি গোষ্ঠী। তাই এই মুহূর্তে গ্রিন হাইড্রোজেন-জাত পণ্যের বাজার তৈরি করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই জাপানি সংস্থার সঙ্গে এই চুক্তি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
হাইড্রোজেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশবান্ধব মৌল। সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় অচিরাচরিত বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহার করে জল থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন (গ্রিন হাইড্রোজেন) উৎপাদনে সমুদ্রের জলই ব্যবহার করা হয়। উৎপাদনের পর দু’ রকম ভাবে হাইড্রোজেন বাজারে পাঠানো হয়, সরাসরি বা অ্যামোনিয়াতে রূপান্তরিত করে। এই অ্যামোনিয়াকে গ্রিন অ্যামোনিয়া বলা হয়। এই পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন কেমিক্যাল, আয়রন, স্টিল, পরিবহন-সহ বিভিন্ন সেক্টরে কার্বনমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করে।