ফাইল চিত্র।
টেলিকমের ব্যবসায় আদানিরা আসলে ঠিক কোন পথে? প্রায় রোজই নতুন খবরে জোরালো হচ্ছে এই প্রশ্ন। আরও চড়ছে জল্পনা। টেলিকম উপদেষ্টা মহলের একাংশের ইঙ্গিত ছিল, আদানি গোষ্ঠী নিজস্ব ব্যবসায় টেলিকম পরিষেবার যুক্তি দেখিয়ে ৫জি স্পেকট্রাম কিনতে নিলামে অংশ নেওয়ার কথা বলছে ঠিকই। কিন্তু ভবিষ্যতে লাইসেন্স নিয়ে সার্বিক বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করতে পারে। এর আগে বিভিন্ন সূত্রের খবর ছিল, ফোন ও নেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য তারা ইউনিফায়েড লাইসেন্স পেয়েছে। এ বার জানা যাচ্ছে, গত মাসের শেষে গুজরাত সার্কলের ক্ষেত্রে তাদের সেই লাইসেন্সে প্রাথমিক সম্মতিপত্র (লেটার অব ইন্টেন্ট) দিয়ে দিয়েছে টেলিকম দফতর (ডট)। নিলামে সফল হলে সেই লাইসেন্স যাতে হাতে আসে, সে জন্য নানা নথিপত্র ডটকে দিয়েছে সংস্থা। যার মানে, অন্তত ওই সার্কলে যে কোনও সময় বাণিজ্যিক পরিষেবা চালুর পথ খোলা আদানিদের সামনে।
একাংশের যদিও প্রশ্ন, শুধু নিজেদের ব্যবসার প্রয়োজনে স্পেকট্রাম লাগলে ইউনিফায়েড লাইসেন্স থাকার দরকার পড়ে কি?
ডট নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী সংস্থার যে তালিকা মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে, তাতে রিলায়্যান্স জিয়ো, এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়ার (ভি) সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীও রয়েছে। আর্জি প্রত্যাহারের সময়সীমা ১৯ জুলাই। তার পরে থেকে যাওয়া সংস্থা শর্ত পূরণ করছে কি না খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত তালিকা বেরোবে ২০ জুলাই।
এই পরিস্থিতিতেই জানা গেল, ২৮ জুন আদানি গোষ্ঠীকে ইউনিফায়েড লাইসেন্সের প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র। ৫জি-র নিলামে অংশ নিতে আর্জি জানানোর শেষ দিন ছিল ৮ জুলাই। ডট জানিয়েছে, ওই গোষ্ঠীর তরফে আদানি ডেটা নেটওয়ার্ক নিলামে অংশ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের বক্তব্য, পরে অন্য সার্কলে পরিষেবা দিতে চাইলে আদানিদের আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে। তবে কার্যত নিঃশব্দে আদানিদের পদক্ষেপ দেশের টেলিকম শিল্পে নতুন ঢেউ এনেছে।