উদ্বোধনে। ছবি: সঙ্গীত নাগ
কলকাতা ও সাঁতুড়ি: দেশের পাঁচটি বড় ইস্পাত উৎপাদনকারী সংস্থা পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের ‘জঙ্গলসুন্দরী’ কর্মনগরীতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। শনিবার পুরুলিয়ার সাঁতুড়ির পড়াডিহাতে শাকম্ভরী গোষ্ঠীর স্পঞ্জ আয়রন কারখানার উদ্বোধনে গিয়ে তেমনই দাবি করলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘রঘুনাথপুরের জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে বিনিয়োগে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিট করবেন (বিজিবিএস), সেখানে কিছু সইসাবুদ হবে।’’ তাঁর আরও দাবি, রঘুনাথপুরে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তবে সংস্থাগুলি কত বিনিয়োগ করবে, তা ভেঙে বলেননি তিনি। পুরুলিয়ার ‘ফেডারেশন অব স্মল স্কেল ইন্ড্রাস্ট্রি’র মুখপাত্র মনোজ ফোগলা বলেন, ‘‘আমরা বিনিয়োগের বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’
অনুষ্ঠানে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার দাবি, ‘‘জেলায় সংগঠিত ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারখানায় ২ লক্ষ ৪২ হাজারের কিছু বেশি শ্রমিক কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে পুরুলিয়ার শিল্পায়নে নজর দিয়েছেন, তাতে আগামী পাঁচ বছরে সংখ্যাটা আরও দুই লক্ষাধিক বাড়বে।’’
জেলাশাসক রাহুল মজুমদার শাকম্ভরী গোষ্ঠীকে এলাকায় ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে ‘বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক’ তৈরিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবকে সমর্থন জানান শিল্পমন্ত্রী। সংস্থাটির চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপককুমার আগরওয়ালেরও দাবি, সাঁতুড়ির কারখানাটি অধিগ্রহণের পাঁচ মাসের মধ্যে তা শুরু করা গিয়েছে। বিনিয়োগ হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা। ৩০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে রাজ্যে কর্মদিবস নষ্ট হচ্ছে না। লগ্নির আদর্শ বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।’’
এ দিকে, বিজিবিএসের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। দফায় দফায় দফতরভিত্তিক প্রস্তুতি বৈঠকের পাশাপাশি, এ বার জেলাশাসকদেরও সেই বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আগামিকাল, সোমবার বিকেলের ওই বৈঠকে সামগ্রিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁদের জানাবেন মুখ্যসচিব। জেলার শিল্পমহলকেও সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে সব জেলাশাসককে।