দূষণ কমাতে নানা ক্ষেত্রে বিমান জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহারে জোর দিচ্ছে ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। প্রতীকী ছবি।
দূষণ কমাতে নানা ক্ষেত্রে জৈব জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহারে জোর দিচ্ছে ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। বিমান জ্বালানির ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ভারতেও সম্প্রতি এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের তৈরি কমিটি। মন্ত্রক জানিয়েছে, সেই রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
বাতাসে কার্বন নির্গমন কমাতে সিএনজি বা বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগী মোদী সরকার। পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর প্রক্রিয়াও ধাপে ধাপে বাড়াতে চায় কেন্দ্র। তেমনই বিমান শিল্পের ক্ষেত্রে জাট্রোফা, অ্যালকোহল, ভোজ্য নয় এমন তেল, ব্যবহৃত রান্নার তেল ইত্যাদি থেকে নানা প্রযুক্তিতে ওই জৈব জ্বালানি তৈরি চলছে। যাকে শিল্পের পরিভাষায় বলা হচ্ছে ‘সাসটেনেব্ল এভিয়েশন ফুয়েল’ (স্যাফ)।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তেল মন্ত্রক জানিয়েছে, পানিপথে এমন জ্বালানির উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা করেছে ইন্ডিয়ান ওয়েল। মউ সই করেছে পুণের প্রাজ ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সঙ্গেও। ভোজ্য নয় এমন তেল এবং ব্যবহৃত রান্নার তেল থেকে ওই জ্বালানি তৈরির জন্য ম্যাঙ্গালোরে উৎপাদন কেন্দ্র গড়তেও আগ্রহী সংস্থা। উল্লেখ্য, এর মধ্যে অবশ্য জ্বালানির একাংশে স্যাফ ব্যবহার করে ভারতে বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যেই বিমান চালিয়েছে।