পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কিছু সুপারিশে আপত্তি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দিল ছ’টি রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের অমিত মিত্র, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, পুদুচেরি, পঞ্জাব ও দিল্লির অর্থমন্ত্রীরা। সেখানেই নিজেদের আপত্তির কথা জানান তাঁরা।
অর্থ কমিশনের প্রস্তাব, ১৯৭১ সালের বদলে ২০১১ সালের জনসুমারি অনুসারে ভাগ হোক রাজস্ব। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে তুলনায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফল রাজ্যগুলি। তাদের মতে, যে সমস্ত রাজ্য এ ক্ষেত্রে সফল, এতে তারা ধাক্কা খাবে। সঙ্কটে পড়বে রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাধীনতা। কমিশনের প্রস্তাব মৌলিক সাংবিধানিক মূল্যবোধের বিরোধী বলেও তাদের অভিযোগ। এ নিয়েই এ দিন স্মারকলিপি জমা দিতে রাষ্ট্রপতির কাছে যান অর্থমন্ত্রীরা।
এ দিকে, অর্থ কমিশনের সঙ্গে এ দিন বৈঠকে সাম্প্রতিক জনসুমারির পরিসংখ্যানই বিবেচ্য হওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেছেন অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন, প্রণব সেন, সুরজিৎ এস ভল্লার মতো অর্থনীতিবিদরা। তবে তাঁদের মতে, সেই পরিসংখ্যানের গুরুত্ব (ওয়েটেজ) হওয়া উচিত জনসংখ্যার বিচারে। পাশাপাশি, যে সমস্ত রাজ্য ইতিমধ্যেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে, তার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হোক বলেও মত তাঁদের।
একই সঙ্গে রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঋণ নেওয়ার সীমা বেঁধে রাখার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যকে সমান দায়িত্ব নিতে হবে বলেও এ দিন মত প্রকাশ করেছেন তাঁরা।