বিদেশে থাকা বেআইনি সম্পত্তি ও কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে জানানোর ব্যবস্থা করেছে আয়কর দফতর। এক পদস্থ কর্তা জানান, ওয়েবসাইটে একটি ‘লিঙ্ক’ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ‘ফর্ম ৬’ পূরণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট করদাতাকে।
কেন্দ্রের নতুন আইন অনুযায়ী, বিদেশে থাকা সম্পত্তি ও কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এককালীন সুযোগ দেওয়া হবে। যাঁরা তা প্রকাশ করবেন, তাঁদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই সম্পত্তি ও আয়ের উপর ৩০% কর এবং ৩০% জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু সময়ে না-জানালে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে অঘোষিত সম্পত্তি ও আয়ের উপর ১২০% কর দিতে হবে। হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডও।
তবে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, এই আইন স্বচ্ছ নয়। আইনি পরামর্শদাতাদের অনেকেই মনে করছেন, এ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সব সময় পাওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া, সম্পত্তি ও আয়ের মূল্যায়নের বিষয়টিও অস্পষ্ট। যেমন, কলকাতার খেতান অ্যান্ড কোম্পানির সিনিয়র পার্টনার এন জি খেতানের বক্তব্য, ১৯৭০ ও তার পরে দেশে করের সর্বোচ্চ হার ৭০% থেকে বাড়তে বাড়তে ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছিল। ফলে অনেকে আইনি পথে আয় করলেও চড়া কর এড়াতে বিদেশে লগ্নি করেন। কিন্তু অনেকে আবার বেআইনি ভাবে আয়ের টাকাতেও করফাঁকি দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, দু’পক্ষকেই এক সারিতে বসানো হবে কেন? যে সব অ্যাকাউন্ট অনেক আগেই বন্ধ হয়েছে সেগুলির হদিস কী করে মিলবে, তা নিয়েও প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা। আইনে প্রথম থেকে সম্পত্তির হিসেব দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু খেতানের দাবি, বিশ্বে বেশিরভাগ জায়গাতেই অ্যাকাউন্টের হিসেব ৭ বছরের বেশি থাকে না। এই সব বিষয় স্পষ্ট না হলে এই আইনের সুফল আদৌ কতটা মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।