ডানকান গোষ্ঠীর ছ’টি ‘সঙ্কটজনক’ বাগানের পরিচালনভার হস্তান্তরের জন্য আগ্রহপত্র চেয়েছিল টি বোর্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ১৫টি সংস্থা তাতে সাড়া দিয়েছে। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে দেখছে বোর্ড।
ডানকানের সাতটি ‘সঙ্কটজনক’ বাগানের দায়িত্ব নতুন সংস্থার হাতে তুলে দিতে গত জানুয়ারিতে টি বোর্ডকে দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক।
সাতটির মধ্যে ডিমডিমা বাগানটি বিআইএফআর-এর আওতার বাইরে থাকায় প্রথমে সেটির জন্যই আগ্রহপত্র চেয়েছিল বোর্ড। পরে বাকি ছ’টির (বীরপাড়া, গরগণ্ডা, লঙ্কাপাড়া, তুলসীপাড়া, হান্টাপাড়া ও ধুমচিপাড়া) জন্যও আলাদা আলাদা ভাবে আগ্রহপত্র চায় তারা। নতুন করে আর্থিক-সহ কিছু শর্ত চাপিয়ে গত মাসে ফের সংশোধিত আগ্রহপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বোর্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ১৫টি সংস্থা আগ্রহপত্র জমা দিয়েছে। কয়েকটি সংস্থা একাধিক বাগান পরিচালনার ভার নিতেও আগ্রহ দেখিয়েছে।
বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে আগ্রহপত্রের মূল্যায়ন করে নম্বর দেবেন বোর্ড-কর্তারা। সেই প্রক্রিয়ায় কেউ যোগ্য হলে তবেই তাদের চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছাই করা হবে। কবে সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে, সে ব্যাপারেও অবশ্য কোনও আভাস দিতে নারাজ বোর্ড।
এমনিতেই বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। তার উপর ডিমডিমা র জন্য আগ্রহপত্র চেয়েও বোর্ড যোগ্য কাউকে না-পাওয়ায় ডানকান গোষ্ঠীর ওই বাকি বাগানগুলির ভবিষ্যৎ কী, তা খুব একটা স্পষ্ট নয় বলেই মত চা শিল্পের একাংশের। কারণ যোগ্য সংস্থা ছাড়া অন্য কারও হাতে বাগান তুলে দিলে ফের মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বাগানের কাজকর্ম। বিশেষ করে বাগান পরিচালনার দৈনন্দিন খরচ মেটানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা থাকা একান্তই জরুরি নতুন পরিচালক সংস্থার। না-হলে শ্রমিকদের ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে।
তাই সংশোধিত আগ্রহপত্রে সম্ভাব্য ক্রেতাদের আর্থিক-সহ কিছু শর্ত দিয়েছে বোর্ড। যেমন, তাদের ন্যূনতম ব্যবসার পরিমাণ, কার্যকরী মূলধনের পরিমাণ ও বাগান পরিচালনার জন্য ‘ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি’ দেওয়ার অঙ্ক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ঠিক মতো বাগান পরিচালনা করতে না-পারলে পরিচালনার দায়িত্ব বাতিলের সেই ব্যাঙ্ক-গ্যারান্টির আংশিক বা পুরোটাই পরে নিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে বোর্ড। যা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে বাগানের উন্নয়ন তহবিলে। আর যদি নতুন সংস্থার বাগান পরিচালনা সন্তোষজনক হয়, তা হলে নির্দিষ্ট সময় পরে সে টাকা তাদের ফেরত দেবে বোর্ড।