স্রেফ নমিনি বা উত্তরাধিকারীর নাম নথিভুক্ত না-থাকায় ব্যাঙ্কগুলিতে দাবিহীন অবস্থায় পড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সম্প্রতি ভারত চেম্বার অব কমার্সের সভায় এই দাবি করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটিজ মার্কেটসের ডিরেক্টর সন্দীপ ঘোষ। এ নিয়ে সচেতনতা তৈরির কাজে নেমেই এই তথ্য সামনে এসেছে বলে জানান তিনি।
ইউকো ব্যাঙ্কের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর ভি এস আইয়ার-ও বলেন, ‘‘প্রায় সমস্ত ব্যাঙ্কেই বিপুল টাকা দাবিহীন ভাবে রয়েছে। কোনও অ্যাকাউন্টে ১০ বছর লেনদেন না-হলে, তার টাকা কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়। দাবিদার উপযুক্ত প্রমাণ দিলে তা ফেরত পেতে পারেন। ওই টাকার একটা অংশ আমানতকারীদের সচেতনতা বাড়াতে ব্যয় করা হয়।’’
সন্দীপবাবুর দাবি, ‘‘শুধু ব্যাঙ্কে নয়, বিপুল টাকা দাবিহীন ভাবে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার আমানত প্রকল্পে। আগে থেকে উত্তরাধিকারীর নাম নথিভুক্ত করা জরুরি।’’
আরও পড়ুন: সিম যাচাইয়ের পোর্টাল আনতে সময় চাইল শিল্প
শুক্রবারই আবার লোকসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী শিব প্রতাপ শুক্ল জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে শুধু জালিয়াতির জেরে ১৬,৭৮৯ কোটি টাকা হারিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাইবার হানাও।