প্রতীকী ছবি
আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ফুসফুস, যা প্রতিদিন আমাদের শরীরে অক্সিজেনের জোগানকে অব্যাহত রেখে শরীরকে সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই ফুসফুসের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সাধারণ মানুষের অসচেতনতার কারণে এখনও ফুসফুস সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে মানুষের মৃত্যু ঘটে। তবে রোগ জটিল হলেও তার প্রাথমিক পর্যায়ে পালমোনোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করলে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
ফুসফুস সংক্রান্ত রোগে সাধারণ মানুষকে আশার আলো দেখাচ্ছে ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’। সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সেখানকার কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট এবং জয়েন্ট আরআইসিইউ ইনচার্জ চিকিৎসক সঙ্ঘব্রত শূর বলেন, “আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রদান করে ফুসফুস। মস্তিষ্কে ৮ সেকেন্ড অক্সিজেন না পৌঁছলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই শরীর সচল রাখতে ফুসফুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
চিকিৎসক শূর আরও বলেন, “হালকা ধরনের কাশিকে আমরা অনেক সময়েই উপেক্ষা করে থাকি। এটা করা কখনওই উচিত নয়। উপেক্ষা করলে পরর্বতীতে হালকা কাশি থেকেই বড় ধরনের রোগ দেখা দেয়। হালকা কাশি অনেক কারণেই হয়। যেমন, টনসিলের সমস্যা, মরসুম বিশেষে কাশির মাত্রা বৃদ্ধি পেলে অ্যাজ়মা, ‘সিওপিডি’, ‘ইন্টারস্টিশিয়াল লাং ডিজ়িজ়’, ফুসফুসের ক্যানসার ইত্যাদি রোগ হতে পারে। এ ছাড়া, বুকে জল জমলেও কাশি হয়।”
‘ইন্টারস্টিশিয়াল লাং ডিজ়িজ়’ হলে ধীরে ধীরে ফুসফুস শুকিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই রোগও সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। তাই হালকা কাশি হলে প্রথম দিকে উপেক্ষা করে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। ফুসফুসের ক্যানসার নিয়েও ভয়ের কোনও কারণ নেই। ‘এক্স-রে’, ‘সিটি স্ক্যান’, ‘লাং ফাংশন টেস্ট’-এর মাধ্যমে ফুসফুসের অবস্থা বুঝে নির্ধারিত চিকিৎসা পদ্ধতির দ্বারা রোগীকে সুস্থ করে তোলা হয়।
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।