প্রতীকী চিত্র
সুন্দর থাকতে কে না চায়! কিন্তু সুন্দর থাকা মানে শুধু সাজগোজ নয়। বরং শারীরিক সুস্থতাই সৌন্দর্যের মূল মন্ত্র। তবে সাম্প্রতিক কালে এই শারীরিক সৌন্দর্য ব্যাহত হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম এই ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ওজন কমানোর জন্যে আমরা অনেকেই জিমে বা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করে থাকি। এই শরীরচর্চার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও পরিবর্তন করা উচিত। বর্তমানে ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে প্রোটিন পাউডার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে কী ভাবে যোগ করবেন এই প্রোটিন পাউডার, জেনে নিন-
ওজন কমাতে প্রোটিন শেক- ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন শেক, প্রোটিন পাউডার খাওয়ার একটি সুবিধাজনক এবং সুস্বাদু উপায়। প্রোটিন শেকের মধ্যে কম ক্যালোরিযুক্ত ফল যেমন বেরি, টকজাতীয় ফলের রস, কম চর্বি বা উদ্ভিদ-জাত দুধ হল সেরা সংযোজন। ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করে একটি সহজ এবং সুস্বাদু প্রোটিন শেক আপনিও তৈরি করে নিতে পারেন।
ওজন কমাতে প্রোটিন স্মুদি- প্রোটিন পাউডারের সঙ্গে যে কোনও ফল মিশিয়ে জলখাবারের জন্যে খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন প্রোটিন স্মুদি। উচ্চ প্রোটিন কম ক্যালোরি খাবার যেমন, বেরি, টকজাতীয় ফল, কিউই, তরমুজ, কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং গ্রিক ইয়োগার্ট প্রোটিন স্মুদি তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রোটিন স্মুদি কেবল ওজন কমানোর জন্যই ভাল নয়, এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
ওজন কমাতে ওটসও একটি জনপ্রিয় বিকল্প। এটি হোলগ্রেন, ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। যেহেতু ওটস সহজাত ভাবে মসৃণ, তাই প্রোটিন পাউডার খুব সহজেই ওটসে মিশিয়ে ফেলা যায়। এই প্রোটিন পাউডার এবং ওটসের সঙ্গে ফল এবং বাদামও যোগ করা যেতে পারে ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের জন্য।
ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন প্যানকেক একটি স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশের বিকল্প হতে পারে। প্রোটিনে ঠাসা জলখাবারের জন্য প্যানকেক ব্যাটারে প্রোটিন পাউডার যোগ করতে পারেন।
এ ছাড়াও আর কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রোটিন পাউডার খেতে পারেন-
দুধের সঙ্গে মিশিয়ে – ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দুধের সঙ্গে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
জলের সঙ্গে মিশিয়ে – ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে জলের সঙ্গে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে খাওয়া যায়।
কাস্টার্ডের সঙ্গে – দুধের সঙ্গে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে তার সঙ্গে কিছু টুকরো করা ফল- আপেল, আঙুর, ডালিম, স্ট্রবেরি, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি দিয়ে কাস্টার্ড বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
ড্রিঙ্ক বানিয়ে – লেবু জলে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে এতে সামান্য চিয়া সিডস ও মধু যোগ করুন। তৈরি হয়ে যাবে দারুণ উপভোগ্য ড্রিঙ্ক।