টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি
দেশে সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান পশ্চিমবঙ্গে লেখাপড়ায় উৎকর্ষ ও উদ্ভাবনে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি যেন আলোর দিশারী। অত্যাধুনিক পঠনপাঠনের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য পরিচিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা বিভাগের মধ্যে স্কুল অব হসপিট্যালিটি এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। হসপিট্যালিটি ও হোটেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে আধুনিক B.Sc(H) পাঠ্যক্রমের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ পাঠক্রম, ইন্ডাস্ট্রি-কেন্দ্রিক ইন্টার্নশিপ এবং ত্রুটিহীন প্লেসমেন্ট অ্যাসিস্টেন্স প্রোগ্রাম এখানকার উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের অন্যতম।
এক ঝলকে এখানকার B.Sc(H) পাঠ্যক্রম:
হসপিট্যালিটি ও হোটেল অ্যাডমিনিস্ট্রশনে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির B.Sc(H) প্রোগ্রাম ৪ বছরের। প্রতি বছরের পাঠ্যক্রম এমন ভাবে তৈরি যা শিক্ষার্থীকে হসপিট্যালিটি জগতের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে তোলে। এখানে পুঁথিগত জ্ঞানের সঙ্গে হাতে-কলমে শিক্ষার যথাযথ মেলবন্ধনে ছাত্রছাত্রীদের দুর্দান্ত পেশাদার হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
ইন্টার্নশিপ এবং প্লেসমেন্টে সহায়তা:
এখানকার পাঠ্যক্রমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অঙ্গ হল হাতে-কলমে শিক্ষায় গুরুত্ব। পড়ুয়াদের জন্য প্রথম সারির হোটেল এবং হসপিট্যালিটি সংস্থায় ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে তারা ক্লাসের চার দেওয়ালের মধ্যে পাওয়া শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ শিখে নিতে পারে। এর ফলে তারা যে শুধুমাত্র দক্ষতায় শান দিতে পারে তা-ই নয়, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলের ছবিটাও তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়।
শক্তিশালী প্লেসমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স কর্মসূচি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বের বিষয়। ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির সংস্থাগুলোর সঙ্গে গাঁটছড়ার ফলে এখানকার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্র থেকে পেশাদারি ক্ষেত্রে উত্তরণ হয় খুব মসৃণ ভাবে। এখানকার স্নাতক পড়ুয়ারা কোর্স শেষে হসপিট্যালিটির পরিসরে হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ইভেন্ট প্ল্যানিং কিংবা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের মতো বিভিন্ন বিভাগে, বিভিন্ন ভূমিকায় সফল হওয়ার জন্য তৈরি থাকে।
পড়শানো শুধু ক্লাসঘরেই সীমাবদ্ধ নয়:
ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিংয়ের অনন্য সব সুযোগ তৈরির জন্য টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির নামডাক রয়েছে। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের অন্তর্গত হওয়ার সুবাদে স্কুল অব হসপিট্যালিটি, OFFBEAT CCU এবং সুন্দরবনের ইকো-ট্যুরিজম রিসর্ট— ঝড়ে জলে জঙ্গলের মতো সর্ব ক্ষেত্রে টেকনো গোষ্ঠীর বিভিন্ন হসপিট্যালিটি ইউনিট ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এই সব জায়গার স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট সুযোগ সুবিধা হ্যান্ডস-অন লাইভ ট্রেনিং এবং মূল্যবান এক্সপিরিয়েনশিয়াল লার্নিংয়ের মঞ্চ হিসেবে কাজ করে।
OFFBEAT CCU:
কলকাতার মতো প্রাণবন্ত শহরে চোখে পড়ার মতো ঠিকানায় এই OFFBEAT CCU ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুধুমাত্র শেখার জায়গাই নয়, পাশাপাশি অতিথিসেবার একটা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতাও প্রদান করে। এখানে শিক্ষার্থীরা একটা আধুনিক হসপিট্যালিটি সংস্থার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে।
ঝড়ে জলে জঙ্গলে - সুন্দরবনে অবস্থিত ইকো টুরিজম রিসর্ট:
একে টেকনো ইন্ডিয়ার প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং ব্যবস্থার উৎকৃষ্টতম নিদর্শন বলা যেতে পারে যা, সুস্থায়ী ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন এবং হসপিট্যালিটির ইমার্সিভ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। সুন্দরবনের চোখধাঁধানো সৌন্দর্যের মধ্যে থেকে শিক্ষার্থীরা পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে রিসর্ট চালানোর খুঁটিনাটি শিখে নিতে পারে।
সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মানচিত্রে হসপিট্যালিটির উৎকর্ষ পঠনপাঠনে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি এক আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়ে।
বিশদ জানতে দেখুন: www.technoindiauniversity.ac.in।
ভর্তির জন্য 9831817308 নম্বরে যোগাযোগ করুন।
এই প্রতিবেদনটি ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।