ট্যালেন্টওয়ালার প্রতিষ্ঠাতারা
প্রথম বছর শেষ করে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করল আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট স্টার্ট আপ ট্যালেন্টওয়ালা। ২০২২ সালের ১৬ মার্চ পথ চলা শুরু করে ট্যালেন্টওয়ালা। ধীরে ধীরে রূপোলি পর্দার জগতে নিজেদের ভিত পোক্ত করেছে তারা। সংস্থার পক্ষ থেকে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অনির্বান অধিকারী, অভিজিৎ দে, এবং অ্যাঞ্জেল হোস জানালেন, এই এক বছরে কী ভাবে তারা একের পর এক বাঁধা পার হয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, মহামারি পরবর্তী সময়ে কী ভাবে বিনোদন শিল্প নিজের মতো করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কলকাতা এবং মুম্বইয়ে থেকে একটি ছোট দল নিয়ে শুরু করার পরে বর্তমানে সংস্থার সঙ্গে ৬০ জনের বেশি কর্মী যুক্ত রয়েছেন। এবং এই ব্যপ্তিতে সংস্থা অত্যন্ত গর্বিত।
এই প্রসঙ্গে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অনির্বান অধিকারী বলেন, “ছোট ছোট প্রতিভাবান ও উজ্জ্বল তরুণ-তরুণীরা বিনোদন জগতে নিজেদের নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। যার ফলে গোটা ইন্ডাস্ট্রির ব্যপ্তি বাড়ছে। বর্তমানে কলকাতা, মুম্বই ও সুরাটে ট্যালেন্টওয়ালার অফিস রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের ঢাকা শহরেও নিজেদের অফিস তৈরি করেছে তারা। বিগত ২-৩ বছরে আমূল বদলে গিয়েছে আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট বা শিল্পী ব্যবস্থাপনার বিষয়টি। এখন তাঁরা নিয়মিত ইভেন্ট বুকিং ছাড়াও তাঁদের নিরাপত্তা, আতিথেয়তা, প্রযুক্তিগত, উৎপাদন ইত্যাদিকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ট্যালেন্টওয়ালা।”
সেই শুরুর সময় থেকে ট্যালেন্টওয়ালা বিশ্বাস করে যে আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট স্রেফ একটি পরিষেবা নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ক্ষেত্রটি বড় হচ্ছে। তারকারা নির্দিষ্ট কিছু পরিষেবার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। লাইভ প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে ডিজিটাল মাধ্যম— এই দু’য়ের মধ্যে চমৎকার ভারসাম্য রেখে তাঁরা এই বছরে একটি বড় অঙ্কে পৌঁছতে পেরেছেন। এই বছরে ট্যালেন্টওয়ালা ৭৬৩ জন শিল্পীকে বুকিং করেছে। যার মধ্যে ১৫০ জন সম্পূর্ণ নতুন মুখ। শুধুমাত্র ভারতেই নয়, ৯টি দেশে, ৫০০ জনেরও বেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে ব্র্যান্ড ও ইনফ্লুয়েন্সার ক্যাম্পেইন, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন ইত্যাদি সামলেছে এই সংস্থা। সঙ্গে সফলভাবে একাধিক ক্লায়েন্টের জন্য বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান তো রয়েছেই।
ইতিমধ্যেই, ট্যালেন্টওয়ালা সারা দেশে ৪টি বড় মিউজিক ফেস্টিভালের আয়োজন করেছে। এবং দেশের নামী তারকাদের সঙ্গে কাজ করতে সফল হয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, সোনু নিগম, জুবিন নটিয়াল, অমিত ত্রিবেদী, সেলিম সুলেমান, কৈলাশ খের, ফারহান আখতার, রশ্মিকা মান্দানা, টিসকা চোপড়া, দর্শন রাভাল, জাভিদ আলী সহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। তা ছাড়াও সমীর কোচর, ইউফোরিয়া, ফসিলস, হৃদয় গাট্টানি, অন্তরা মিত্র, কিউকে, আন্ডারগ্রাউন্ড অথারিটি, সৌরাসেনী মিত্র, অলিভিয়া সরকার, অনন্যা চক্রবর্তী, উজ্জ্বয়নীর মতো প্রতিভাবান শিল্পী ও ব্র্যান্ডদের প্রতিনিধিত্ব করেছে এই সংস্থা। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতারা জানাচ্ছেন, ইভেন্ট অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার ফলে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকটা সমর্থন পেয়েছেন এবং স্বভাবতই এই সমর্থন সংস্থার ব্যাপ্তিতে সাহায্য করেছে।
ট্যালেন্টওয়ালা মনে করে বিনোদন জগত যে ভাবে দ্রুত প্রসারিত এবং বিকশিত হচ্ছে, তা খুব কম সময়েই দেশের অন্যতম বৃহত্তম এবং সমৃদ্ধ শিল্পে পরিণত হতে চলেছে। সেই সময়ের সাক্ষী থাকার দরুন, এই সংস্থা তাদের কাজের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করে চলেছে। সেই সঙ্গে জারি রয়েছে তাদের স্বপ্নের দৌড়।
এই প্রতিবেদনটি ‘ট্যালেন্টওয়ালা’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।