ষষ্ঠতম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন
গত ২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার নিউ টাউনে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় জাঁকজমকের সঙ্গে তার ষষ্ঠতম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করেছে। সারা দেশ ও রাজ্যের বহু বিশিষ্ট অতিথি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকেই তাঁদের বক্তব্যে শিক্ষা পরিকাঠামো তো বটেই, পাশাপাশি শিল্প-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের নিরিখেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির প্রশংসা করেন।
ঐতিহ্য মেনে প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সঙ্গে একটি উদ্বোধনী স্তোত্র পরিবেশন করেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। ষষ্ঠতম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষাগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং সহযোগিতার দিক থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করা। অনুষ্ঠান শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী এবং উপাচার্য অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। এর পরে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক সুগত বসুর বার্তা এক আলাদা ভাল লাগার মুহূর্ত তৈরি করে দেয়।
নেপালের শিক্ষামন্ত্রী প্রমীলা কুমারী, কাঠমাণ্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভোলা থাপা, কৃষিমন্ত্রী এবং অধ্যাপক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, লেখক মার্টিন কেম্পচেন-সহ বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ এই উদযাপনকে আলাদা মাত্রা দিয়েছিল। ব্র্যাডলি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়িয়ে দেওয়া সহযোগিতার হাত সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সুযোগের পথ প্রশস্ত করেছে। প্রতিষ্ঠা দিবসের এই অনুষ্ঠান নানা ক্ষেত্রে উদ্ভাবন ও অবদানের জন্য নতুন প্রজন্মের উদ্যোগপতিদেরও স্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রকৃত অর্থে এই দিনটি ছিল সাফল্যের আনন্দ উদযাপনের। সারা বছরের পরিশ্রমের ফলের স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে এই দিনটির জন্যে অধীর অপেক্ষায় থাকে ছাত্রছাত্রীরা। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের যোগ্য শিক্ষার্থীদের সম্মানিত করা হয়। সেই সঙ্গে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বার্ষিক ক্রীড়া দিবসের পদকও তুলে দেন বিজয়ীদের হাতে। অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ দিক ছিল ‘এসএনইউ কয়েনেজ’ উন্মোচন। এই অভিনব প্ল্যাটফর্মটি পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট শিক্ষার পাশাপাশি সেই সংক্রান্ত সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপে অংশ নিয়ে উপার্জনেরও সুযোগ করে দেবে।
সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের বিকাশে একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ষষ্ঠতম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত জগতের দুই প্রয়াত কিংবদন্তী উস্তাদ রাশিদ খান এবং সলিল চৌধুরীকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানান, যে উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতি এবং অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, অধ্যাপক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীর দর্শন ও লক্ষ্যে অবিচল থেকেই এগিয়ে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। তরুণ মন ও প্রতিভাকে সঠিক পথে চালিত করে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও উন্নত পৃথিবী তৈরিই তার বরাবরের উদ্দেশ্য।
এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।