‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’
সম্প্রতি এমপ্লয়াবিলিটি.লাইফ (Employability.life) এবং ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি (এসএনইউ) একটি কৌশলগত একটি মৌ (MoU) চুক্তি স্থাপন করেছে। এই ছুক্তির মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষ ও শিল্পমুখী করে তোলা। এই নতুন অভিজ্ঞতাপূর্ণ শিক্ষামূলক প্রোগ্রামগুলির জন্য এসএনইউ ক্যাম্পাসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যা শিক্ষাক্ষেত্রে হাতে-কলমে কিছু শেখার মতো পদ্ধতির ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এবং সভাপতি অধ্যাপক ডানকান বেন্টলি। তিনি শিক্ষার ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনশীল প্রবণতা এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে তারা আধুনিক শিল্পের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হতে পারে।
এমপ্লয়াবিলিটি.লাইফ (Employability.life)-এর দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান মনীশ মালহোত্রা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজার দাসগুপ্ত, এবং চিফ টেকনোলজি অফিসার অনিরুদ্ধ ফাড়কে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মালহোত্রা শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতের সুযোগগুলি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীরা কী ভাবে সেই সুযোগগুলির জন্য প্রস্তুত হতে পারে সে সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, যেমন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সিইও শঙ্কু বোস, এসএনইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, এসএনইউ-এর কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান অনির্বাণ মিত্র এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অ্যান্ড আউটরিচের পরিচালক সুম্মৌলি পাইনে।
প্রফেসর চট্টোপাধ্যায় তার স্বাগত বক্তব্যে এমপ্লয়াবিলিটি.লাইফ (Employability.life)-এর এই অভিনব প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে এর গুরুত্বের উপরেও জোর দেন। এর পর নতুন XPMC শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচয় অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাব’ উদ্বোধন করা হয়। এই ল্যাবটি শিক্ষার্থীদের কোর্স কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত করে তোলার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও প্রদান করা হয়েছে। চার ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানটিতে পরিচিতি, ওরিয়েন্টেশন সেশন এবং ইন্টারেক্টিভ আইস ব্রেকিং কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা শিক্ষার্থীদের একে অপরের সঙ্গে এবং প্রোগ্রামের সঙ্গে পরিচিত হতেও সাহায্য করে।
শঙ্কু বোস এই উদ্যোগের অত্যন্ত প্রশংসা করেন, যা শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনির্বাণ মিত্র, এ.পি.জে. আবদুল কালামের একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন, “স্বপ্ন সেটা নয় যা আপনি ঘুমের মধ্যে দেখেন, স্বপ্ন সেটা যা আপনাকে ঘুমাতে দেয় না” এবং আশা প্রকাশ করেন বলেন ‘ফিউচার অব ওয়ার্ক’ উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে সহায়তা করবে, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে।
এই পার্টনারশিপ, শিক্ষা এবং শিল্পের মধ্যে ফাঁক পূরণ করার একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সফল হতে প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক দক্ষতা এবং জ্ঞান প্রদান করবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’র সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।