ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়
এই প্রথম সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ১৩-১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হল পৌষ মেলা। ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তিন দিনব্যাপী মেলার উদযাপনের সঙ্গে ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। যা আগত মানুষদের কাছে খুবই হৃদয়গ্রাহী উঠবে ওঠে। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অঙ্গ ছিল হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বাউল গান থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় লাইভ গ্রাফিটি, চিত্তাকর্ষক ছৌ-নাচ থেকে সুস্বাদু পিঠা-পুলি সবকিছুই।
১৩ই জানুয়ারি, শনিবার বিকেল ৩টে থেকে এই পৌষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। ছিলেন পদ্মশ্রী পূর্ণ দাস বাউল, বিভাস চক্রবর্তী, অধ্যাপক বরুণকুমার চক্রবর্তী, অমিতা দত্ত, রাজেশ পাণ্ডে (আইএএস) এবং স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ১৫ জানুয়ারি প্রতিদিন বিকেল ৩টে থেকে ৮টা পর্যন্ত সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির নিউ টাউন ক্যাম্পাসে চলেছে এই মেলা।
পৌষ মেলা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একটি প্রাণবন্ত দিক হিসাবে কাজ করে, যেখানে ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গে একতাও বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের একটি সাংস্কৃতিক উদযাপনকে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি তাদের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং সাংস্কৃতিক স্তরে প্রশংসাও পেয়েছে।
অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় দিকগুলি:
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: নাচ, গানের পাশাপাশি ছিল থিয়েটার পারফরম্যান্সও। সব মিলিয়ে এই পৌষ মেলা এনে দেয় এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক মিশেল।
হস্তশিল্প: মেলায় ছিল স্থানীয় কারিগরদের তৈরি বিভিন্ন দেশীয় কারুশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন শিল্পকর্ম।
উপাদেয় খাবারদাবার: সুস্বাদু খাবারের পসরায় ছিল বিভিন্ন আঞ্চলিক পদ এবং রান্না সম্পর্কীয় তথ্য, যা আমাদের বাংলার ঐতিহ্যকে নির্ধারণ করে।
ইন্টারেক্টিভ ওয়ার্কশপ: এ ছাড়াও এই পৌষ মেলায় ছিল হ্যান্ডস-অন ওয়ার্কশপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন। এ ছাড়াও ছিল বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, গান, নাচ-সহ অনেক কিছু, যা আপনাকে নানা বিষয় শেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেও সাহায্য করবে।
বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথন: বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতির সংরক্ষণ, বৈচিত্র্য এবং ঐতিহ্যের উদযাপনের তাৎপর্য নিয়েও একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল মেলায়।
সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির এই পৌষ মেলার মূল উদ্দেশ্যে ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংস্কৃতির বোধকে জাগিয়ে তোলা এবং তার উপলব্ধি গড়ে তোলার চেষ্টা। এ ছাড়াও শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং এক বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের বোধকে লালন করাও ছিল এই অনুষ্ঠানের অন্যতম লক্ষ্য। ঐতিহ্য এবং আনন্দ উদযাপনের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই।
এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।