রোজকার ব্যস্ত জীবনে একটু চোখ ফেরালেই একটি বিষয় পরিষ্কার নজরে পড়ে। তা হল শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের চাকরির সুযোগ খুবই কম। কিন্তু সঠিক সময়ে ছেলেমেয়েরা যদি ঠিকমতো কোর্স বেছে নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেক্ষেত্রে চাকরি পাওয়া যেমন সহজ হয়, ঠিক তার সঙ্গে সঙ্গে কেরিয়ার গড়ার পথও মসৃন হয়। সেই কথা ভেবেই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চাকরিমুখি বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স চালু করেছে।
সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি সুভাষ বোস ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টও। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে চাকরিমুখি বিভিন্ন ম্যানেজমেন্ট কোর্স পড়ানো হয়ে থাকে। বলে রাখা ভাল যে চাকরির জন্য সব থেকে বেশি সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় গতানুগতিক শিক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের। তাই তো এসবিআইএইচএমএর দু’টি ক্যাম্পাসেই গতানুগতিক শিক্ষার থেকে প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট কোর্সকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কারণ যে কোনও ম্যানেজমেন্ট কোর্স পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ থেকে সহজেই চাকরি পেয়ে যায়।
গ্রাম শহর নির্বিশেষে ছেলেমেয়েরা ম্যানেজমেন্ট কোর্স পড়ার জন্য এসবিআইএইচএম-কেই বেছে নিয়েছে। মালদা জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এক জন সাধারণ ছাত্রী ছিলেন সুলতানা খাতুন। সে এখন ফ্রান্সের মিসেলিন স্টারে চাকরি করছে ফ্লোর সুপারভাইজার পদে। এমনই বহু সুলতানা এসবিআইএইচএম থেকে পাশ করে বিদেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত। এখানকার পড়াশোনার বিশ্ব মানের। প্রফেশনাল কোর্স পড়ার জন্য যে ধরনের পরিকাঠামো, ও শিক্ষক-শিক্ষিকা দরকার তার সব ক’টিই রয়েছে এসবিআইএইচএমের ক্যাম্পাসে। আজকের দিনে যে কোনও কর্পোরেট সংস্থায় চাকরির জন্য বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে প্রফেশনাল কোর্স পাশ করা ছেলেমেয়েদের। এসবিআইএইচএম-এ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল কোর্স হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ফ্যাশন টেকনোলজির ব্যাচেলর, মাস্টার ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা পড়ানো হয়। এখানের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা অত্যন্ত সহানুভূতি ও আন্তরিকতার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নিয়ে থাকেন। যার জন্য সকল অভিভাবকরা খুবই নিশ্চিন্ত থাকেন তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে। এ ছাড়া এখানকার ট্রেনিং ও প্লেসমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সদা তৎপর ছাত্রছাত্রীদের চাকরির ব্যাপারে। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে দেশ ও বিদেশের হোটেল, হসপিটাল, এয়ারলাইন্স, ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে এমনভাবে গাঁটছড়া বাঁধা যে ছাত্রছাত্রীরা পাশ করা মাত্রই ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ থেকে কোনও না কোনওভাবে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পায়।
এখানকার প্রতিটি কোর্সের প্র্যাক্টিক্যাল ল্যাব ঘুরলেই আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ার অনুভব করবে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা । বিশেষজ্ঞ প্রফেসররা তো রয়েছেনই। তাঁদের অভিঞ্জতা, দক্ষতা ও নির্দেশ এক জন সাধারণ মানের ছাত্র বা ছাত্রীকে সফল কেরিয়ার গড়তে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই তো বহু ছাত্রছাত্রী সুভাষ বোস ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টের থেকে পাশ করে দেশ ও বিদেশের নামকরা সংস্থা যেমন আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল, ওবেরয় গ্র্যান্ড, নভোটেল, হলিডে ইন, তাজ, ওয়েস্ট ইন, দ্য লীলা, এমিরেটস, হিলটন, অ্যাপোলো হসপিটাল, সিএমআর আইকেয়ার হসপিটাল, মণিপাল হসপিটাল, মেডিকা, এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট এয়ারলাইন্স, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারলাইন্স, ওনজিসি, ২৪ ঘণ্টা, উইপ্রো, সাপুরজি-পালোঞ্জি, স্টেট ব্যাঙ্ক, এইচ ডি এফ সি ব্যাঙ্ক, টিসিএস ইত্যাদি সংস্থায় ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন পদে চাকরি করছে।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য হল যে কোন কোর্স পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের এক হাতে থাকবে সরকারি ডিগ্রি সার্টিফিকেট আর অন্য হাতে থাকবে চাকরির নিয়োগপত্র। পড়াশোনা করে ঘরে বসে থাকতে হবে না যদি গতানুগতিক শিক্ষা ছেড়ে চাকরিমুখি শিক্ষা অর্থাৎ প্রফেশনাল কোর্স নিয়ে পড়া যায়। ২০২৩ সালে যে সকল শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন অথবা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করবে তাদের জন্য প্রফেশনাল শিক্ষার সব থেকে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হল সুভাষ বোস ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট। এদের দু’টি ক্যাম্পাসে রয়েছে, একটি হল কলকাতার নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ১, যাত্রাগাছি, (৯৮৩০০১২৫৩৬) আর অন্যটি বারাসত কাজিবাড়ি (৯৯০৩২২৭১৮৫)।