P.C. Chandra Group

৮৫ বছরের পথ চলা, গয়না প্রস্তুত ছাড়াও বিশ্বের ব্যবসায়িক মানচিত্রে নিজেদের মেলে ধরেছে পিসি চন্দ্র গ্রুপ

অনন্য পরিষেবা, বিশ্বস্ততা এবং গুণমান — দীর্ঘ ৮৫ বছর ধরে এই তিন বিষয়ের উপরে ভর করেই ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখেছে পিসি চন্দ্র গ্রুপ।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩৪
Share:

পিসি চন্দ্র গ্রুপ

স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে শুরু করে যে সংস্থাগুলি কলকাতার ব্যবসায়িক মানচিত্রে নিজদের স্বতন্ত্রতা এবং স্বকীয়তা বজায় রেখেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল পিসি চন্দ্র গ্রুপ। ১৯৩৯ সালে তৈরি এই সংস্থা বর্তমানে গয়নার জগতে বেশ বড় নাম। খুব সহজ করে বললে, অন্যতম সেরা গহনা প্রস্তুতকারক এই সংস্থা তাদের অসামান্য কারিগরির মাধ্যমে আজ সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে।

তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে পিসি চন্দ্র গ্রুপ শুধুমাত্র গয়নার জগতেই নয়, শিল্পের আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের ডানা মেলে ধরেছে। রাসায়নিক ও অ্যাডেসিভ তৈরি থেকে শুরু করে সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, হাউজ়িং প্রোজেক্ট, রাবার প্ল্যান্ট থেকে হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি— সব মিলিয়ে বিশ্বের শিল্পের মানচিত্রে এই সংস্থার ব্যপ্তি এককথায় ব্যপক। যদিও সংস্থার মূল ব্যবসা কিন্তু গয়নাকে ঘিরেই।

পিসি চন্দ্র গ্রুপের ৮৫ বছরের দীর্ঘ পথচলার কিছু বিশেষ মুহূর্ত

অনন্য পরিষেবা, বিশ্বস্ততা এবং গুণমান — দীর্ঘ ৮৫ বছর ধরে এই তিন বিষয়ের উপরে ভর করেই ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখেছে পিসি চন্দ্র গ্রুপ। এই সাড়ে আট দশকের যাত্রার সেই পথ আরও সুমসৃণ করেছে গ্রাহকদের বিশ্বাস এবং ভালবাসা।

শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যই নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার বিভিন্ন প্রেক্ষাপটেও এগিয়ে এসেছে এই সংস্থা। মহিলাদের ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া, সাংস্কৃতিক এবং খেলাধুলার জগতের পাশে দাঁড়ানো থেকে সবুজ, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলা, সব ক্ষেত্রেই নিজেদের আলাদাভাবে তুলে ধরেছে পিসি চন্দ্র গ্রুপ।

এক নজরে দেখে নিন, কোন কোন ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এই সংস্থা —

জওহরলাল চন্দ্র মেরিট স্কলারশিপ: মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রতিটি জেলার শীর্ষস্থান অর্জন করা শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

অনুপ্রেরণা: এই স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই সমস্ত শিক্ষার্থীদের যাঁরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন। অর্থের অভাবে তাঁদের পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয়, সেই ভাবনা নিয়ে এই স্কলারশিপ।

জ্ঞানধারা: পশ্চিমবঙ্গের মোট ৬৪টি কলেজ এই প্রকল্পের আওতায় অর্থ পায়, নিজেদের লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, কম্পিউটার রুম ইত্যাদি তৈরি এবং মানোন্নয়নের জন্য।

পশ্চিমবঙ্গের ১১৩টি স্কুলে জল এবং শৌচ প্রকল্প তৈরি করেছে এই গ্রুপ

শ্রদ্ধাঞ্জলি: বয়স্ক অভিনেতা, পরিচালক এবং টেকনিশিয়ানদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, যাঁরা একটা সময় টলিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং নিজেদের সময়ে ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক কিছু দিয়েছেন। অথচ এখন বয়সের ভারে ন্য়ুব্জ বা অসুস্থতার কারণে কঠিনে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

এনআরএস, এসএসকেএম, ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিক, কলকাতা মেডিকেল কলেজ, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ, ঠাকুরপুকুর ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার এবং ইসলামিয়া হাসপাতালে রোগ নির্ণয়-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য মেশিন দান করেছে এই সংস্থা।

চিরনবীন: প্রবীণ নাগরিক, যাঁরা আমাদের জীবনে পথপ্রদর্শক হয়ে রয়েছেন, তাঁদের জন্য জেরিয়াট্রিক দিবস উদযাপন করে এই সংস্থা।

স্পিচ অ্যান্ড হিয়ারিং ইনস্টিটিউট এবং গবেষণা কেন্দ্রে নিয়মিত অনুদান করে থাকে এই সংস্থা।

অক্ষয় তৃতীয়ার প্রাক-পর্বে পিসি চন্দ্র গ্রুপ আনন্দবাজারের সকল পাঠককে জানাচ্ছে অক্ষয় তৃতীয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছে ও অভিনন্দন। সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

এই প্রতিবেদনটি ‘পিসি চন্দ্র গ্রুপ’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন