OmDayal Group of Institutions

ভারতে স্থাপত্যবিদ্যার পড়াশোনায় নতুন দিশা দেখাচ্ছে ওম দয়াল গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশনের আর্কিটেকচার বিভাগ

বিষয় হিসেবে স্থাপত্যবিদ্যা স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী। আর্কিটেকচার নিয়ে পড়লে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়ার নিজস্ব কল্পনাশক্তিও রসদ পায়। সঙ্গে গড়ে ওঠে চারু শিল্পকলার দক্ষতা।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ২১:৩৫
Share:

কলকাতার কাছেই, হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এই শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে এসেছে ওম দয়াল কলেজ।

পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দেশ জুড়ে আর্কিটেকচার বা স্থাপত্যবিদ্যা পড়ানো হয় মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর শাখা হিসেবে। বিদেশে, বিশেষত পশ্চিমের দেশগুলোতে শুধুমাত্র আর্কিটেকচার পড়ানোর জন্য আলাদা কলেজ থাকলেও এ দেশে তেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে।

কলকাতার কাছেই, হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এই শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে এসেছে ওম দয়াল কলেজ। এখানে আর্কিটেকচার বিভাগের জন্য একেবারে স্বতন্ত্র ভবন রয়েছে। বহুতল ভবন, আড়েবহরে বেশ বড়। ইতিমধ্যেই কলেজের এই বিভাগ বেশ প্রশংসিত। অল্প দিনেই নামডাক হয়েছে তার।

বিষয় হিসেবে স্থাপত্যবিদ্যা স্বতন্ত্র মর্যাদার অধিকারী। আর্কিটেকচার নিয়ে পড়লে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়ার নিজস্ব কল্পনাশক্তিও রসদ পায়। সঙ্গে গড়ে ওঠে চারু শিল্পকলার দক্ষতা।

বাড়ি হোক বা অফিস, শপিং মল অথবা মিউজিয়াম, গগনচুম্বী বাণিজ্যিক কেন্দ্র কিংবা অল্প খরচের একতলা বাড়ি— সব কিছুর জন্যই দরকার ‘স্পেস ইউটিলাইজেশন’ বা জমির যথাযথ ব্যবহার। একমাত্র স্থাপত্যবিদ্যাই পারে তা সুন্দর ভাবে শিখিয়ে দিতে। ইট,কাঠ, সিমেন্ট, বালি দিয়ে তৈরি বাড়িতে প্রাণ সঞ্চারের দায়িত্ব এক জন স্থপতির। দক্ষ আর্কিটেক্টই পারেন কংক্রিটের ইমারতকে নান্দনিক ও আকর্ষণীয় করে তুলতে।

এই কারণেই ওম দয়াল কলেজের ৫ বছরের কোর্সে প্রথম থেকেই জোর দেওয়া হয় আর্কিটেকচারাল ডিজাইন বা বাস্তুবিদ্যার বিভিন্ন সামগ্রী সম্পর্কে সম্যক ধারণা, জ্যামিতিক প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞানের শর্তাবলী ইত্যাদি বিষয়ের উপর। আধুনিক অপরিহার্য বিষয় যেমন— কম্পিউটার ড্রয়িং ও প্রেজেন্টেশন, ডিজিটাল মডেলিং ইত্যাদি শেখানোর মধ্যে দিয়েও পড়ুয়াদের সময়োপযোগী দক্ষতা তৈরি করে দেওয়া হয়। ফলে পাঁচ বছরের B.Arch কোর্স শেষে যে কোনও পড়ুয়ার কাছে দেশ বিদেশের প্রতিষ্ঠিত সংস্থায় কাজ করা কিংবা আর্কিটেক্ট হিসেবে নিজেকে সফল ভাবে প্রতিষ্ঠিত করাটা সহজ হয়ে যায়।

স্থাপত্যবিদ্যা সেই প্রাচীন যুগ থেকেই এক চর্চিত বিষয়, যা আজও বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। অপরিহার্যও বটে। যত দিন যাচ্ছে, এর গুরুত্ব এবং এই পরিসরে কাজের সুযোগ আরও বাড়ছে।

ওম দয়াল কলেজের শিক্ষকরা সুদক্ষ ও অভিজ্ঞতার নিরিখেও অনেকটাই এগিয়ে। এই ক্ষেত্রের সমকালীন ধারার সঙ্গেও তাঁরা ওয়াকিবহাল। প্রতি বছর দেশকে অসংখ্য প্রতিভাবান ও প্রতিশ্রুতিময় তরুণ আর্কিটেক্ট উপহার দিয়ে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান, যাঁদের হাত ধরে আগামী দিনে খুলে যেতে পারে স্থাপত্যশৈলীর নতুন দিগন্ত।

এই প্রতিবেদনটি ‘ওম দয়াল গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশন’এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন