আলোচনায় চিকিৎসক অরিজিৎ বোস
কলকাতায় চিকিৎসা ক্ষেত্রের সঙ্গেও এ বার জুড়ে গেল অত্যাধুনিক ফাইভ-জি প্রযুক্তি। অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগীর চিকিৎসায় ডাক্তারের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণের জন্য এখন আর হাসপাতাল পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। অ্যাম্বুল্যান্সে থাকাকালীনই চিকিৎসকের নজরদারিতে তাঁর শুশ্রূষা শুরু করে দেওয়া সম্ভব হবে। সৌজন্যে অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হসপিটালস কলকাতার ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স।
এতকাল হাসপাতালে পৌঁছনো পর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা চিকিৎসা কর্মী এবং অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীরাই রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতেন। তাঁরাই যোগাযোগ করতেন চিকিৎসকের সঙ্গে। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করতে হলে এই কর্মীদের চোখ দিয়েই রোগীকে দেখতে হত চিকিৎসককে। ভরসা করতে হতো তাঁদের মুখের কথায়। অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালে পৌঁছলে তবেই সামনাসামনি রোগীকে দেখতে পেতেন চিকিৎসক। ততক্ষণে অনেকটা সময় চলে যেত।
ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাহায্যে এই প্রক্রিয়াটাই অনেকখানি বদলে যাচ্ছে। শুরু থেকেই রোগীকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন চিকিৎসক। কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হসপিটালস -এ শুরু হয়ে গিয়েছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ। হাসপাতালের ফাইভ-জি অ্যাম্বুল্যান্সে হাতে কলমে চলছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার।
ঠিক কেমন ভাবে এই গোটা প্রক্রিয়া এগোচ্ছে, তা বুঝিয়ে বললেন অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হসপিটালস -এর জরুরি বিভাগের প্রধান এবং সিনিয়র এমার্জেন্সি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিজিৎ বোস। তাঁর কথায়, “শুধুমাত্র অ্যাম্বুল্যান্স স্টাফের মুখের কথার উপরে নির্ভর না করে এখন সরাসরি রোগীকে দেখতে পাব। শুধু রোগীকে দেখাই নয়, তাঁর ভাইটালস, ইসিজি রেকর্ডিং, ব্লাড প্রেশার দেখে প্রয়োজনে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্তও নিতে পারব।”
ফাইভ জি প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য দক্ষতা ও সুবিধা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে চিকিৎসক বোস বলেন, “৫জি প্রযুক্তির সাহায্যে সুপার ফাস্ট ভিডিও স্ট্রিমিং হয়। ফলে আমরা রিয়েল টাইমে, রোগীর প্রতিটা মুহূর্তের ছবি লাইভ দেখতে পাই। মনে হয় যেন রোগীর পাশেই বসে আছি। সেই ছবি এত দুর্দান্ত স্পষ্ট যে, মনে হয় আমিও যেন অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরেই রয়েছি। ফলে সেখানে কী হচ্ছে, তা জানার জন্য আর অ্যাম্বুল্যন্স স্টাফের বিচক্ষণতার উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে না। রোগী কেমন আছেন, তাঁর অবস্থায় উন্নতি হচ্ছে না অবনতি, তার ভাইটালস ঠিকঠাক আছে কি না, সবটাই স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছি। ফলে হাসপাতালে কনসোলের সামনে বসেই আমি অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগীর চিকিৎসা পরিচালনা করতে পারছি।”
ঠিক এ ভাবেই তো স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপ্লব ঘটাচ্ছে ফাইভ-জি প্রযুক্তির ব্যবহার!
এই প্রতিবেদনটি অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালের সঙ্গে আনন্দবাজার ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।