Education

পূর্ব ভারতের স্থাপত্য শিক্ষায় নয়া দিগন্তের হদিশ দিচ্ছে এসএনইউ

বিশ্বমানের পরিকাঠামো এবং সুবিধা যুক্ত এসএনইউ-এর ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র নতুন ও উদ্ভাবনী বিষয় ভাবতেই সাহায্য করবে না, পাশাপাশি সমসাময়িক সমস্যাগুলিকে বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করতেও সাহায্য করবে।

Advertisement

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:২৯
Share:

সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি

সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তি হয়ে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সন্ধান পেতে পারে ছাত্র-ছাত্রীরা।

Advertisement

ভবিষ্যতে পূর্ব ভারতে আর্কিটেকচারাল এডুকেশন অর্থাৎ স্থাপত্য শিক্ষাকে এক অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পের উপরে যে কারণে সম্প্রতি নতুন দু'টি কোর্সও চালু করেছে তারা - ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার (বিআর্ক) এবং ব্যাচেলর অব প্ল্যানিং (বিপ্ল্যান)।

স্নাতক পর্যায়ের জন্য তৈরি এই দু'টি কোর্সই লঞ্চ করেছে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির(এসএনইউ) অন্তগর্ত স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিং (এসএপি)। বিশ্বমানের প্রযু্ক্তি, শীর্ষস্থানীয় অনুষদ এবং বিশদ পাঠক্রম - এই সমস্ত কিছু মিলিয়েই এই কোর্স দু'টির পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

বিগত দুই দশকে বিভিন্ন পরিকাঠামোয় বিশদ উন্নয়ন দেখেছে ভারত। যার ফলে আর্কিটেকচারকে সামনে রেখে একটি সুবিন্যস্ত কোর্স তৈরি করতে পেরেছে এসএনইউ। এই নতুন আর্কিটেকচার বিভাগের মূল লক্ষ্যই হল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়, বাস্তবিক এবং শিল্প ভিত্তিক ব্যবহারিক জ্ঞানের মাধ্যমে সুপ্রতিষ্ঠিত করা।

পাঁচ বছরের এই ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার কোর্সে বিভিন্ন বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর্কিটেকচারাল স্টুডিও থেকে ইতিহাস এবং সংস্কৃতি, বিল্ডিং স্ট্রাকচার থেকে নির্মাণ প্রযুক্তি, কম্পিউটার গ্রাফিক্স থেকে পরিবেশবিদ্যা, ক্লাইমেটোলজি - সব কিছুই রয়েছে এই বিভাগে। শিক্ষার্থীদের যাতে শিল্পস্তরের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা থাকতে পারে, তার জন্য ১০টি সেমেস্টারের পাশাপাশি ছয় মাসের জন্য একটি প্রফেশনাল আর্কিটেকচারাল ট্রেনিং দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে চার বছরের ব্যাচেলর অব প্ল্যানিং প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছে ভারতে নগর পরিকল্পনাকারীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা ভেবে। এটি শিক্ষার্থীদের বেসিক ডিজাইনের ধারণা, কৌশল এবং তত্ত্বগত পরিকাঠামোর পাশাপাশি একটি শিল্প-ভিত্তিক পাঠক্রম সরবরাহ করবে। এই কোর্সটি মোট আটটি সেমেস্টারে বিভক্ত। যার মধ্যে শিক্ষার্থীরা প্ল্যানিং অফিসে ১২ সপ্তাহের অফ ক্যাম্পাস প্রফেশনাল কাজের পাশাপাশি মাইক্রো-লেভেল ইউনিট ডিজাইন থেকে ম্যাক্রো-লেভেল আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বিভিন্ন প্রকল্প ডিজাইন করা ও পরিচালনায় দক্ষতা অর্জন করবে।

বিশ্বমানের পরিকাঠামো এবং সুবিধা যুক্ত এসএনইউ-এর ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র নতুন ও উদ্ভাবনী বিষয় ভাবতেই সাহায্য করবে না, পাশাপাশি সমসাময়িক সমস্যাগুলিকে বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করতেও সাহায্য করবে।

এসএনইউ-র দ্য স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিং শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পুঁথি ও প্রযুক্তিবিদ্যাতেই আটকে রাখবে না। এখানকার বিভিন্ন এডুকেশনাল ট্যুরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থাপত্য ও ভাস্কর্য নিয়ে গবেষণা করতে পারবে। দু'টি প্রোগ্রামই এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা প্রফেশনার পোর্টফোলিওর সঙ্গে তাদের স্নাতক স্তর পার করতে পারে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি কোর্স শেষ হবে ফাইনাল সেমেস্টারে ডিজাইন থিসিসের মাধ্যমে যেখানে শিক্ষার্থীরা রিসার্চ মেথেডোলজি, সার্ভে, অ্যানালিসিস এবং প্রেজেন্টেশন - ইত্যাদি শিখতে পারবে।

একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে, তাদের একটি রুটিনের আওতায় আনতে বেশ কিছু শিক্ষামূলক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে মডেল তৈরি, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ, ডিজাইন স্টুডিও, ডিজাইন সফটওয়্যার, অডিও ভিস্যুয়াল লেকচার্স এবং প্রেজেন্টেসন, কনস্ট্রাকশন সাইট ভিজিট, প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রিসার্চ, কনফারেন্স, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি। পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয় জিআইএস সফটওয়্যার ব্যবহারের উপরেও জোর দিয়েছে যেটি শিক্ষার্থীদের আর্থ-সামাজিক তথ্য বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করবে এবং এটি তাদের ভবিষ্যৎ কেরিয়ারকেও প্রশ্বস্ত করবে।

গ্র্যাজুয়েশনের পরে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি পেতে পারে শিক্ষার্থীরা। যেমন, নগর পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পরিচালনা বিভাগ, হাউজিং, ট্র্যান্সপোর্ট প্ল্যানিং, ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্ল্যানিং, পরিবেশ পরিকল্পনা, কনজার্ভেশন প্ল্যানিং ইত্যাদি। এছাড়াও পাবলিক সেক্টরে প্ল্যানিং, ডেভেলপমেন্ট ও ম্য়ানেজমেন্ট এজেন্সিগুলির পাশাপাশি প্রাইভেট কনসালটেন্সি অর্গানাইজেশনেও চাকরি পাওয়া সম্ভব।

এসএনইউ-র দ্য স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্য়ানিং-এর ডিরেক্টর মনীশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "এই দুটি কোর্সের সফলতা নিয়ে আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। প্রথম বর্ষের ব্যাচটিই এই বিভাগের অ্যাম্বাসাডর হবে এবং প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়েই আমরা সাফল্যের শিখরে পৌঁছব।"

এসএনইউ-র অন্তর্গত এই আর্কিটেকচারাল স্কুলটি নিউ দিল্লির কাউন্সিল অব আর্কিটেকচার এবং ইন্ডিয়ান টাউন প্ল্যানিং ইনস্টিটিউট কর্ত্ক অনুমোদিত। এই স্কুলের লক্ষ্য পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement