Sister Nivedita University

সফল কেরিয়ারের নতুন পথ খুলে দিয়েছে ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’র স্থাপত্য বিদ্যা

স্থাপত্যশিল্পীরা স্বত্বাধিকারী বা মালিক হিসাবে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন থেকে শুরু করে বৃহৎ শহরে উন্নয়নের কাজের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনার সুযোগ পান।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪ ১৫:২০
Share:

‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’র স্থাপত্য বিদ্যা

‘আর্কিটেকচার’ বা স্থাপত্য বিদ্যা হল এমন এক আকর্ষণীয় পেশা যা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলার সংমিশ্রণে তৈরি। ভারতে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি (বি.আর্ক) অর্জন করলে বহু-জাতিক নকশা ও নির্মাণের কাজের বাইরেও আরও অনেক সম্ভাবনাময় কেরিয়ারের দরজা খুলে যায়। এই ক্ষেত্রে স্নাতকেরা তাঁদের নিজস্ব আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আরও বিভিন্ন দিক অন্বেষণ করার সুযোগ পান।

স্থাপত্যশিল্পীদের কাজ হল কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও নান্দনিকতা বজায় রেখে বিভিন্ন পরিকাঠামোর নকশা তৈরি করা। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনার শেষে আর্কিটেক্টরা ‘কাউন্সিল অফ আর্কিটেকচার’ (CoA) থেকে একটি ‘ইউনিক রেজিস্ট্রেশন’ নম্বর পান, যা তাঁদের স্বাধীন ভাবে কোনও সংস্থার (বেসরকারি বা সরকারি) সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দেয়।

স্থাপত্যশিল্পীরা স্বত্বাধিকারী বা মালিক হিসাবে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন থেকে শুরু করে বৃহৎ শহরে উন্নয়নের কাজের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনার সুযোগ পান। নিজস্ব ফার্ম পরিচালনা করার সূত্রে প্রতিভাবান পেশাদারদের নিয়ে একটি দল গড়ে তোলার সুযোগও পান তাঁরা। যা তাঁদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাকে লালন করার জন্যে সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করে দেয়।

স্থাপত্যশিল্পীদের অনেক ক্ষেত্রে স্পেশালাইজ়েশন রয়েছে। যেমন: ‘কনসারভেশন’, ‘ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার’, ‘আরবান ডিজ়াইন’, ‘আর্কিটেকচারাল থিওরি’, ‘রিয়েল এস্টেট’, ‘ইন্টিরিয়র ডিজ়াইন’, ‘গ্রিন বিল্ডিং’ ইত্যাদি। এ ছাড়াও স্থাপত্যশিল্পীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্র হল ‘আরবান প্ল্যানিং’ বা নগর পরিকল্পনা। যেখানে তাঁরা শহরের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

শহুরে এলাকার পরিকল্পনা ও উন্নয়নের জন্যবনগর পরিকল্পনাকারীরা বহু-পার্শ্বিক সংস্থা, সরকারি সংস্থা এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সহযোগিতা করার সুযোগ পান। পরিবেশ সংক্রান্ত পরিকল্পনা, পরিবহণ পরিকল্পনা, পর্যটন পরিকল্পনা ও পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা-- এই সবই শহরের উন্নয়ন ও পরিকল্পনার বৃহত্তর ছাতার অধীনে পড়ে। স্থাপত্যশিল্পীদের জন্যে ‘কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট’ বা নির্মাণ ব্যবস্থাপনাও সম্ভাব্য একটি কেরিয়ারের পথ খুলে দিতে পারে। যেখানে স্থাপত্যশিল্পীরা নির্মাণ প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের তদারকি করেন। পাশাপাশি ডিজ়াইন, সময় এবং বাজেটের দিকটিও সুনিশ্চিত করেন।

যাঁদের সৃজনশীলতা ও শিল্পকলার প্রতি আকর্ষণ রয়েছে, তাঁদের জন্য এই ক্ষেত্রটি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে সেট ডিজ়াইনের জগতেও কাজ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ করে দেয়। সৃজনশীল কল্পবিজ্ঞানের সেট বা ঐতিহাসিক কোনও কাহিনির সেট তৈরির দক্ষতায় নিজেদের কল্পনাশক্তির মাধ্যমে দর্শকদের অন্য জগতে নিয়ে যেতে পারেন স্থাপত্যশিল্পীরা। পাশাপাশি কোনও পণ্য ডিজ়াইনেও প্রযুক্তিগত দক্ষতা, নান্দনিকতা ও কার্যকারিতার প্রতি বিশেষ নজর দেন তাঁরা। বিভিন্ন শিল্প পরিসরে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি স্থাপত্যশিল্পীদের নিয়োগ করে উদ্ভাবনী ও ব্যবহারকারী-বান্ধব পণ্য তৈরি করার জন্যে, যা নিখুঁতভাবে ফর্ম ও ফাংশনকে সংহত করে।

যে পথই বেছে নেওয়া হোক না কেন, ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’তে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি (বি. আর্ক) একটি বহুমুখী দক্ষতা তৈরি করে দেয়, যা প্রচলিত স্থাপত্যবিদ্যার চর্চার সীমা অতিক্রম করে। পছন্দসই শহুরে দৃশ্যগুলি গঠনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের জন্যে ভিন্ন পরিবেশ তৈরি থেকে উদ্ভাবনী পণ্য ডিজ়াইন করা পর্যন্ত সব কিছুই এই স্থাপত্যবিদ্যার সম্ভাব্য কেরিয়ারের অন্তর্গত।

এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’র সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন