নিজস্ব চিত্র।
যশোরের শার্শায় বাঘআঁচড়া সাতমাইলে গরুর হাট। সেখানকার খাটালে শত শত গরুর মধ্যে লুকিয়ে রাখা জেব্রা। একটা দু’টো নয়, একেবারে ১০টা। গোয়েন্দা পুলিশ যখন তাদের উদ্ধার করে, একটি মারা গিয়েছে। পুলিশ বলছে পাশে ভারতের বনগাঁ সীমান্ত। সেখান দিয়ে পাচারের জন্যই আফ্রিকা থেকে পশুগুলিকে যশোরে আনা হয়েছিল।
বনগাঁ থেকে বসিরহাট পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে পাচার আসা গরুর ঠিকানা সাতমাইলের এই গরুর হাট। ইদানীং পাচার কমায় কারবারে ভাটা পড়লেও বিভিন্ন সময়ে অন্য দামি পশুর চোরাচালানের ডেরা হিসাবেও উঠে এসেছে এই হাটের নাম।
পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে জেব্রাগুলি হাটে এল, স্পষ্ট নয়। ১০টি জেব্রার একটি মঙ্গলবার মধ্যরাতে মারা যাওয়ার পরে বাকিরা লাফালাফি করে চিৎকার জুড়ে দেয়। চোরাচালানিরা তখন গা-ঢাকা দেয়। খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ হাটে গিয়ে খোঁটায় বাঁধা ৯টি জেব্রা দেখতে পায়। পাশে কয়েকটি বড় বাক্স পড়ে থাকায় অনুমান করা হয়, সেগুলিতে ভরেই পশুগুলিকে আনা হয়েছিল। তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, ভারতে পাচারের জন্য জেব্রাগুলি সম্ভবত আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল। দাম প্রায় ১ কোটি টাকা।