—নিজস্ব চিত্র।
ঢাকার গাবতলী থেকে সোমবার রাতে এক ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, খাইরুলের কাছ থেকে ছ’টি বিদেশি পিস্তল, চারটি বিদেশি ওয়ান শটার, ৩৫টি গুলি ও ১২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
আবদুল বাতেন জানান, পুলিশের কাছে খবর ছিল, ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আসা বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় অস্ত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের কাছে বিক্রি করছে একটি চক্র। খবরের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে গোয়েন্দাদের একাধিক দল। সোমবার গভীর রাতে গাবতলী থেকে অস্ত্রের ব্যাগ সমেত আটক করা হয় খায়রুল ইসলাম ওরফে শফিকুল নামে পশ্চিমবঙ্গের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। ধৃত খায়রুলকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিহার থেকে বালি ভর্তি ট্রাকে অস্ত্র পাঠায় পশ্চিমবঙ্গে। তারপর সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে পেট্রাপোল-বেনাপোল হয়ে এ সব অস্ত্র ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে।
এই গোয়েন্দাকর্তা জানান, অস্ত্রগুলি কার কাছে বিক্রির জন্য খায়রুল বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে, তদন্তে তা জানা যাবে। অস্ত্রের এই চোরাচালানের সঙ্গে জঙ্গিদের কোনও যোগসূত্র আছে কি না জানতে চাইলে ডিবি-র এই কর্তা বলেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাননি।
বাংলাদেশে কারা এই অস্ত্রের ক্রেতা? আব্দুল বাতেন বলেন, খাইরুল পশ্চিমবঙ্গের অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের এক জন সদস্য। তাকে প্রাথমিক ভাবে জেরায় জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কাছে খায়রুল এ সব অস্ত্র বিক্রি করে।
পুলিশ জানায়, পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের চোখ এড়িয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র। পুলিশ জানায়, এ সব অস্ত্র দুই দেশের সন্ত্রাসবাদী চক্রের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে আনা হয়। ধৃত খায়রুলের কাছ থেকে এ সব তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।