প্রতীকী ছবি।
ঢাকার মিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় ঢুকে সাত জনের অগ্নিদগ্ধ লাশ পেল বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ। বেনজির জানান, ‘বহুতল ভবনের তিনটি কক্ষ তল্লাশি করে সাতটি দগ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে।’ মরদেহগুলি পুড়ে বিকৃত হয়ে গেছে। মৃতদেহগুলির যা অবস্থা তাতে দেখে সনাক্ত করা মুশকিল। এমনকী কোনও কোনও দেহ পুরুষ না মহিলার তাও বোঝা যাচ্ছে না দেখে। এই বাড়িতে নব্য জেএমবির শীর্ষনেতা তামিম চৌধুরী ও সারোয়ার জাহান রাতে ঘুমোতেন বলে জানাচ্ছে র্যাব।
আরও পড়ুন:
১৭ বছরের অপেক্ষায় জয়ে বাংলাদেশে ইদের আগেই আনন্দের ঢল
হাসিনা মাঠে ঢুকলেন, আর পরের ওভারেই ইতিহাস গড়লেন সাকিবরা
গত সোমবারে টাঙ্গাইলের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের দারুস সালামের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ফেলা হয়। মাজার রোডের পাশে বর্ধনবাড়ি ভাঙ্গা ওয়ালের গলির ২/৩-বি হোল্ডিংয়ে ছয় তলা ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় আবদুল্লাহ, তার দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই সহযোগী, মোট সাত জন অবস্থান নিয়েছিলেন বলে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরেই সাংবাদিকদের জানান। র্যাব বলছে, আবদুল্লাহ একজন সামনের সারির জঙ্গি। ২০০৫ সাল থেকে জঙ্গিবাদে জড়িত। মিরপুর মাজার রোডের দীর্ঘ দিনের এই বাসিন্দা ইলেকট্রনিক সামগ্রী মেরামতের কাজে দক্ষ।
জঙ্গি আবদুল্লাহ র্যাবের আহ্বানে প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েও শেষ পর্যন্ত মত পাল্টে ফেলে। শুধু তাই নয়, অভিযানের ঘেরাটোপে আটকে থাকা অবস্থাতেই মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ আস্তানার ভেতর থেকে পর পর চার দফায় ভারী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। থেমে থেমে শোনা যায় গুলির শব্দ। বিস্ফোরণে ছ’তলা বাড়িটির পাঁচ তলায় আগুন লেগে যায়।