এই মুহূর্তই সৌভাগ্য ডেকে আনল ইমামের জীবনে। —নিজস্ব চিত্র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যানে ঘুরিয়েছেন দু’দিন আগে। সেই সুখ স্মৃতির ঘোর কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরির খবর পেলেন ভ্যান চালক ইমাম শেখ। এ খবর জানিয়েছেন বাংলাদেশের সরকারি দল আওয়ামি লিগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) প্রতিনিধি শেখ মো. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
এ ছাড়া, প্রধানমন্ত্রী যে ভ্যানটিতে করে ঘুরেছেন, সেটিও বিমান বাহিনীর জাদুঘরে নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ভ্যানটি উপযুক্ত দাম দিয়ে কিনে নিয়েছে বিমানবাহিনী। বেলা ১১টা নাকাদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মো. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-সহ আওয়ামি লিগ নেতাদের উপস্থিতিতে বিমানবাহিনীতে যুক্ত হন ওই ভ্যানচালক।
যশোর বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মো. হারুনুর রশিদ ও দেলোয়ার হোসেন ভ্যানচালক ইমাম শেখকে গাড়িতে করে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে তাঁকে নেওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, “বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা গতকাল রাতে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তিনি ইমাম শেখকে রেডি থাকতে বলেছিলেন। আজ সকালে কর্মকর্তাদের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হল। যোগ্যতা অনুসারে তাকে চাকরি দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, ইমামের বাবা একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ জন্য বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ন: লক্ষ্য সুদূর পর্যন্ত, নতুন প্রজন্মকে দ্রুত তুলে আনতে চান হাসিনা
গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে হারিয়ে যান শৈশবের মধুর স্মৃতিবিজড়িত দিনগুলোতে। একটি সাধারণ রিকশাভ্যানে করে সরকারপ্রধান ঘুরে বেড়ান কুয়াশামাখা গ্রামের পথে। ভ্যানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তাঁর স্ত্রী পেপি সিদ্দিক, তাঁদের মেয়ে লীলা তুলি সিদ্দিক ও ছেলে কায়াস মুজিব সিদ্দিক। কায়াস মুজিবকে কোলে নিয়ে শেখ হাসিনা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান থামিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের খোঁজখবর নেন।