মতিঝিলে বিডা-র নিজস্ব কার্যালয়ে সিআইআই-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত।
বিভিন্ন শিল্পে লগ্নি টানতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। সেই উদ্দেশ্যে শিল্পকে উত্সাহ দেওয়ার নীতি বদলানো হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রাখা হবে বিশেষ ভাবে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এমনটাই চাইছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)-র পূর্বাঞ্চলীয় শাখার এক প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)-র চেয়ারম্যান কাজি এম আমিনুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কার্যালয়ের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দফতর এই বিডা। বুধবার বিডা-র পরিচালন সমিতির প্রথম বৈঠকে শেখ হাসিনা এই বার্তা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলেন।
এ দিনের বৈঠকের পর সিআইআই-এর ওই প্রতিনিধি দলের প্রধান অরুণ মিশ্র বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। কিন্তু, সম্ভাবনার তুলনায় তা যথেষ্ট কম। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে চাই, যা দু’দেশের পক্ষে ভালই হবে।’’
এর আগে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-র সঙ্গে বৈঠক হয় ওই প্রতিনিধি দলের। বিদ্যুত্, খনি, বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ, স্টিল, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয় লগ্নির কথা এফবিসিসিআই-এর তরফে জানানো হয় ওই বৈঠকে। এফবিসিসিআই-এর সভাপতি আবদুল মতলুব আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বিদ্যুত্ শিল্পে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।’’ কিছু ক্ষেত্র বাদ দিয়ে প্রায় বাংলাদেশে প্রায় ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ করা যায়।
রফতানি বৃদ্ধি ও নতুন ব্যবসার সন্ধানে গত ৮ তারিখে ওই প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে যায়। সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলের ‘ইনভেস্টমেন্ট টাস্ক ফোর্স’-এর চেয়ারম্যান অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্যের ওই দলটি ঢাকা সফর করে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তা (মূলত বিদ্যুৎ ও শিল্প দফতরের), শিল্পোন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের সঙ্গে তারা বৈঠক করে। সিআইআইয়ের পূর্বা়ঞ্চলীয় শাখার চেয়ারম্যান টি ভি নরেন্দ্রন জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম অংশীদারই শুধু নয়, স্বাভাবিক সহযোগীও। ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে জনপ্রিয় করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও বাড়বে। অরুণবাবু জানিয়েছেন, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের উপস্থিতি সেখানে আরও জোরদার করাও এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।