প্রতীকী ছবি।
জ্যৈষ্ঠ মাস থেকেই ইলিশের ভরা মরসুম। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণেও দেখা মিলছে না তার। বাজারে ভোজন রসিকদের চোখ ইলিশের ডালির দিকে। অন্য বছর এই সময়ে ঝাঁকা রুপোলি ইলিশে ভরা থাকলেও এ বার ঠিক উল্টো। ইলিশের মরসুমেও ইলিশ ধরতে না পারায় দর্দিনে পড়েছেন জেলেরা। ভোজন রসিক বাঙালির মনটাও খারাপ।
মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরতে যাওয়া জেলেরা জানালেন, জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। এমনকী সারা দিন জাল বেয়ে দিনের খরচের টাকাও উঠছে না।
বাংলাদেশের মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইলিশ মাছের মরসুম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই এই ভরা মরসুমেও ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাদের মতে, বিষয়টি চিন্তার হলেও এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জেলেদের জালে যে একদমই মাছ ধরা পড়ছে না তা কিন্তু নয়। ইলিশ ধরা পড়ছে তবে পরিমানে কম।
সরকারি সূত্রে খবর, বাংলাদেশে ইলিশ ধরার জেলের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার। অন্য দিকে, বেসরকারি হিসাবে ইলিশ ধরার পেশাতে আছেন দু’লাখের বেশি জেলে।
আরও পড়ুন: ভিডিও কলে স্বামীকে রেখেই মডেলের আত্মহত্যা
মরসুমে চাহিদা মতো ইলিশ না পেয়ে আশাহত জেলেরা, একই সঙ্গে হতাশ মাছের আড়তের মালিকরাও। সারা দিনে দু’এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আসলেও তেমন হইচই নেই ভোলা ঘাটে। নেই সেই হাঁকডাক। এই সময়ে যে পরিমান ইলিশ পাওয়া যায়, এ বারে তার এক তৃতীয়াংশ ইলিশ আসছে। আড়তদাররা জানিয়েছেন, এই সময়ে জাল, নৌকা ও ট্রলার-সহ অনান্য সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে যান জেলেরা। অন্যান্য বছর যে পরিমান মাছ পান জেলেরা, তার তিন ভাগের এক ভাগ মিলছে এ বারে। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে ইলিশের মরসুম শুরু, কিন্তু সে তুলনায় নদীতে মাছ নেই।
ভোলা জেলার অন্যতম মাছের ঘাট জোড়াখাল থেকে ইলিশের মরসুমে প্রতি দিন ৫-৬ লাখ টাকার ইলিশ যায় ঢাকাতে। কিন্তু এই বছরে মাছ ধরা না পড়ায় মাত্র ৮০-৯০ হাজার টাকার মাছ প্রতি দিন পাঠানো যাচ্ছে। তবে আশার কথা হল, ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম কাছে জানিয়েছেন, ভরা মরসুমে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশ মৌসুমের সময়সীমা পরিবর্তন হয়েছে। জলবায়ু পরির্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এ বছর প্রচুর ইলিশ উৎপাদন হতে পারে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অগস্টের দিকে ইলিশ ধরা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মাসুদের ঘাড়েই দায় চাপাচ্ছে নাসিরুল্লা