তমাল- ছবি: সংগ্রহ।
বেশ কিছুদিন চলছিল মন্ত্রী শ্বশুর বনাম জামাতা পৌর মেয়রের দ্বন্ধ। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই হামলা হাতাহাতি। পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে ভাঙচুরের সেই ঘটনায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফের ছেলে শিরহান শরিফ তমাল-সহ ১১ জনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান, ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ওসি আবদুল হাই তালুকদার। শুক্রবার দুপুরে ধৃতদের পাবনা জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিরহান শরিফ তমালের বাবা শামসুর রহমান শরিফ ডিলু পাবনা-৪ আসনের এমপি ও ভূমিমন্ত্রী। গত ১৮ মে বিকালে ভূমিমন্ত্রী সমর্থিত যুব লিগ নেতা রাজিব সরকারের নেতৃত্বে ঈশ্বরদী পৌর সদরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বেশ কয়েক জন। সে সময়ে মন্ত্রীর জামাতা আবুল কালাম আজাদের মিস্টির দোকান, বেশ কিছু সাধারণ ব্যবসায়ীর দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। একই সময়ে হামলাকারীরা আবুল কালাম আজাদের সমর্থক উপজেলা ছাত্র লিগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। বাধা দিতে গেলে আহত হন ছাত্র লিগ সভাপতির মা। এখানে বহু দিন ধরেই চলছিল মন্ত্রী শ্বশুর বনাম জামাতা ঈশ্বরদীর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদের রাজনৈতিক দ্বন্ধ। যা এ দিন প্রকাশ্য হামলায় রূপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন...
আমৃত্যু জেলেই রাজাকার সাইদি
ঘটনায় ছাত্র লিগ সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার বিশ্বাস ঈশ্বরদী থানায় বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরিফ তমাল ও যুব লিগ নেতা রাজিব সরকারকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করে।