হাসিনার সফরে সই হবে পরমাণু চুক্তি

শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে, শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে দু’দেশের মধ্যে একটি অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই হতে চলেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে ঢাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৫
Share:

শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে, শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে দু’দেশের মধ্যে একটি অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই হতে চলেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে ঢাকা।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কুড়ানকুলামে ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে যে পরমাণু চুল্লি বসানো হয়েছে, তার থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চায় ঢাকা। বাংলাদেশ সরকারের এক কর্তার মতে, ‘‘পরমাণু ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল। কুড়ানকুলাম থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারলে, বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক ভাবে তা লাভজনক হবে। ভাষাগত সমস্যাও থাকবে না।’’ ওয়াকিবহাল শিবিরের বক্তব্য, এর জন্য পৃথক করে ভারত-রাশিয়া-বাংলাদেশের কোনও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করার প্রয়োজন নেই। কারণ ২০১৪ সালেই ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার পরমাণু শক্তির কৌশলগত ব্যবহার সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সেই চুক্তির ফলে ভারত এবং রাশিয়া তাদের যৌথ প্রকল্পে যে কোনও তৃতীয় দেশের কাছে থেকে কাঁচামাল আমদানি, প্রযুক্তি এবং পরিষেবা রফতানি করতে পারে। পাশাপাশি, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও রাশিয়াও পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করেছে। দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে একটি পরমাণু প্রকল্পের পরিকাঠামো গড়ার কাজও সদ্য শেষ হয়েছে।

সাউথ ব্লক মনে করছে, ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশকে পাশে পেলে পরমাণু ক্ষেত্রে লাভবানই হবে ভারত। কূটনৈতিক অক্ষটিও আরও মজবুত হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পাশেই রয়েছে মস্কো। শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement