অভিযান চলাকালীন। নিজস্ব চিত্র।
ফের ‘নিউ জেএমবি’র এক চাঁইকে নিকেশ করল বাংলাদেশ পুলিশ। নিহত মেজর মুরাদ ওই সংগঠনের প্রশিক্ষক ছিলেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পুলিশের গুলিতে খতম হওয়া তামিম চৌধুরীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্তও ছিল এই মুরাদ। সূত্র মারফত্ খবর পেয়ে পুলিশ ঢাকার মীরপুরের একটি জঙ্গি আস্তানায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় ওই প্রশিক্ষক। ঘটনায় চার পুলিশ কর্মী গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সন্ধ্যায় মীরপুরে রূপনগরের আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর সড়কের ৩৪ নম্বর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলমের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এডিসি ছানোয়ার হোসেন আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, মেজর মুরাদ ওরফে জাহাঙ্গির জেএমবির প্রধান প্রশিক্ষক ছিল। হলি আর্টিজানের হামলাতেও জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল সে। কয়েক দিন আগে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালানোর পরেই তাঁরা জানতে পারেন মুরাদ রূপনগরে আছে। সেই সূত্রে গত ২৯ অগস্ট সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু, তার ঘর তালাবন্ধ ছিল। পুলিশ সেই বাড়ির মালিককে নির্দেশ দিয়েছিল, মুরাদ তার মালপত্রের খোঁজে এলে তিনি যেন পুলিশকে তা জানান। সেই মতো এ দিন পুলিশের কাছে খবর আসে। আর তার পরেই শুরু হয় অভিযান।
আরও পড়ুন: প্রাণভিক্ষা চাইছেন না ‘চট্টগ্রামের জল্লাদ’
এ দিনের অভিযানে জখম হয়েছেন রূপনগর থানার ওসি-সহ, তদন্ত পরিদর্শক শাহিন ফকির এবং মোমিনুল নামে এক এসআই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে তাঁরা ছুরি জাতীয় কোনও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। তাঁদের কাঁধে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পরে দুই পুলিশ কর্মীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্কোয়্যার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আহত পুলিশ কর্মীদের দেখতে স্কোয়্যার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘আহত পুলিশ কর্মীদের অপারেশনের জন্য ওটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন সরকার করবে।’’