International

অবশেষে গুলশন হত্যার পাণ্ডা তামিম খতম, স্বস্তির নিঃশ্বাস বাংলাদেশে

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল গুলশনে হোলি আর্টিজেন রেস্তোরাঁয় হামলার মূল অভিযুক্ত ‘নব‌্য জেএমবি’র শীর্ষনেতা তামিম চৌধুরীর। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তার দুই সঙ্গীরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৬ ১১:২২
Share:

তামিম চৌধুরী। ছবি বাংলা ট্রিবিউনের সৌজন্যে।

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল গুলশনে হোলি আর্টিজেন রেস্তোরাঁয় হামলার মূল অভিযুক্ত ‘নব‌্য জেএমবি’র শীর্ষনেতা তামিম চৌধুরীর। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তার দুই সঙ্গীরও।

Advertisement

নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থানের একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের জওয়ানরা। শুরু হয় অপারেশন "হিট স্ট্রং"। পুলিশের কাছে খবর ছিল ঢাকার একেবারে কাছের ওই বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছে তামিম-সহ তিন জঙ্গি। অভিযান শুরু হতেই বাড়ির ভিতর থেকে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। শোনা যায় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ এবং গুলির শব্দ। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ অভিযান শেষ বলে ঘোষণা করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহত অপর দুই জঙ্গি মানিক ও ইকবাল হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এর আগে পুলিশ ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

Advertisement

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমশিনার সানোয়ার হোসেন জানান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথ ভাবে এই অভিযান চালায়।

পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ওই এলাকার তিনতলা একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। অভিযান শুরু হতেই গুলি চালায় জঙ্গিরা। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আমাদের অপারেশন শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক চলে অভিযান।”

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক বলেন, “অভিযান শুরুর পর জঙ্গিরা বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমাদের আশঙ্কা, তারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলেছে।”

গত ১ জুলাই ভারতীয় সময় রাত পৌনে ৮টা নাগাদ হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশি-সহ ২২ জনকে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন দুই পুলিশ কর্তাও। পরদিন সকালেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী।

প্রথমিক ভাবে ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা বিতর্কিত ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’।

গুলশন হামলার পর থেকেই ৩০ বছরের এই বাংলাদেশি কানাডীয় জঙ্গিকে খুঁজছিল পুলিশ। তামিমের আদি বাসস্থান সিলেট। ১৯৭২ সালে দেশ ছেড়ে কানাডায় চলে যায় তার পরিবার। পাঁচ বছর আগে তার সঙ্গে শেষ বার যোগাযোগ হয় পরিবারের। পারিবারিক সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত জীবনে তামিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের বাবা। তারা তিন ভাই ও এক বোন।

ভিডিও সৌজন্য বাংলা ট্রিবিউন।

আরও পড়ুন:
চিহ্নিত গুলশন হামলার মাস্টারমাইন্ডরা, খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতারও হবে!
জীবিত ধরা গেল না তামিমকে, আক্ষেপ রয়ে গেল বাংলাদেশ পুলিশের
পাঁচ বছর আগে বাবাকে চিঠি লিখে ঘরছাড়া তামিম

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement