বাংলাদেশে নির্বাচনের পর প্রথম বিদেশ সফরে এসে নতুন বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভারতের সহযোগিতা চাইলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো নিয়ে ঢাকা যে নয়াদিল্লির মুখাপেক্ষী, সে কথা আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছেন মোমেন। শুধু মোদীই নয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে তাঁর। কাল বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে ৪টি চুক্তিপত্র সই করার কথা রয়েছে তাঁর। নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর এটাই শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের প্রথম দৌত্য। বর্তমান মোদী সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ দৌত্যও বটে। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, প্রতিবেশী বলয়ে যথেষ্ট কোণঠাসা মোদী সরকারের সঙ্গে গত পাঁচ বছরে সব চেয়ে মসৃণ থেকেছে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক। আজ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর
সঙ্গে বৈঠকে মোদী জানিয়েছেন, ‘‘দু’টি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্কের মডেল হল নয়াদিল্লি-ঢাকা সম্পর্ক। গোটা বিশ্বের সামনে একে তুলে
ধরা প্রয়োজন।’’
তবে এই ‘মডেল’ সম্পর্কে গত মাসে কিছুটা তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। আগরতলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে, ত্রিপুরার রায়েরমুড়া সীমান্তে রোহিঙ্গাদের একটি দলকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি-র দাবি, ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ওই রোহিঙ্গাদের পুশ ব্যাক করে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছিল। তারা ‘অনুপ্রবেশ’ আটকায়। কিন্তু বিএসএফের পাল্টা দাবি, ওই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
আজ তাই রোহিঙ্গা নিয়ে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সরব হয়েছেন মনমোহনও। তিনি মোমেনকে
কথা দিয়েছেন— সরকারে যেই থাকুক, কংগ্রেস রোহিঙ্গাদের মায়নমারে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে সদর্থক ভূমিকা নেবে।