চিকিৎসকদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন যেন সাধারণ মানুষের পড়ার উপযোগী অক্ষরে লেখা হয় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত।
সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে এই সার্কুলার জারির বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যবস্থাপত্র যেন পড়ার যোগ্য অক্ষর অথবা বড় হাতের অক্ষর অথবা ছাপা অক্ষর এই তিনটির যে কোনও একটি পদ্ধতিতে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে কেন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ওষুধের নাম জেনেরিক টার্মে বা প্রকৃত নামে কেন লেখা হবে না, তা জানতে চেয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বিএমডিসির রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএর) মহাসচিব-সহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন...
রাজধানী ঢাকা থেকে জেএমবি-র ১০ জঙ্গি ধৃত
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, আজ রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র পড়ার উপযোগী বা বড় হাতের অক্ষরে বা ছাপা অক্ষরে লেখার বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সার্কুলার জারি করার এবং ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ১৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুর্বোধ্য ব্যবস্থাপত্র: ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২ জানুয়ারি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। এই রিটের ওপর শুনানি শেষে আদালত আজ এসব আদেশ দিলেন।