Abandoned child

ঢাকা বিমানবন্দরের পরিত্যক্ত শিশুটি ফিরে পেল তার ‘মা’কে

শিশুটিকে রেখে ভেতর থেকে মালপত্র আনতে যাওয়ার কথা বলে ভেতরে চলে যান শিশুটির মা। সেই যাওয়ার পরে আর ফেরেননি তিনি। শিশুটির 'বৈধ অভিভাবকত্ব' পেতে আদালতে আবেদন করেন ১০ দম্পতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৭ ১৯:৫৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বিমানবন্দরে এক মহিলা তাঁর সন্তানকে রাখতে বলেছিল আরেক মহিলাকে। তার পরই সেই মা বেপাত্তা। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়াল আদালতে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মায়ের রেখে যাওয়া শিশু আদালতের নির্দেশে খুঁজে পেল তার অভিভাবক। শিশুটির বৈধ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশের এক আইনজীবী সেলিনা আক্তার। শিশুটির নাম ফাতেমা। এটা অবশ্য আদালতের দেওয়া নাম।

Advertisement

গত ৮ জুলাই জর্ডান থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন বাংলাদেশের জয়দেবপুরের বাসিন্দা স্বপ্না বেগম। ওই একই বিমানে ছিল শিশুটিও। বিমানের মধ্যেই শিশুটির মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় স্বপ্নার। বিমানবন্দরে নেমে পার্কিং এলাকায় আত্বীয়-স্বজনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন স্বপ্না। স্বপ্নার কাছে শিশুটিকে রেখে ভেতর থেকে মালপত্র আনতে যাওয়ার কথা বলে ভেতরে চলে যান শিশুটির মা। সেই যাওয়ার পরে আর ফেরেননি তিনি। অনেক সময় অপেক্ষার পর শিশুটির মা আর না ফেরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের কাছে যান স্বপ্না। তাদেরকে ঘটনা জানান তিনি, এর পর শিশু-সহ স্বপ্নাকে পাঠানো হয় বিমানবন্দর থানায়। সেখানে জিডি করে শিশুটিকে পাঠানো হয় তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
এর পর ২৫ জুলাই শিশুটির প্রকৃত বাবা-মাকে ৯ অগস্টের মধ্যে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক মহম্মদ হাফিজুর রহমান। পাশাপাশি মা-বাবাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে শিশুটিকে নিতে আগ্রহী কাউকে নির্বাচন করে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথাও জানান তিনি। আর সেই ঘোষণার পরেই শিশুটির 'বৈধ অভিভাবকত্ব' পেতে আদালতে আবেদন করেন ১০ দম্পতি।

আরও পড়ুন:
রক্ত দিয়ে পালন মুজিব হত্যা দিবস

Advertisement

বাংলাদেশে বন্যায় ভাসছে ২০ জেলার মানুষ, মৃত অন্ততপক্ষে ২৭

শেষ পর্যন্ত শিশুটির প্রকৃত বাবা-মা’র খোঁজ না মেলায় ১৬ আগস্ট আবেদনকারী ১০ দম্পতির মধ্যে অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তারকে আইনী অভিভাবকত্ব দেয় আদালত। আগামী ২২ অগস্টের মধ্যে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement