Koraput Sightseeing

অন্য স্বাদের ভ্রমণ! যাবেন নাকি ভারতের নায়াগ্রায়?

গন্তব্য যদি হয় একেবারে অন্য স্বাদের অচেনা কোনও জায়গা, বেড়ানোর আনন্দই আলাদা! রইল পাশের রাজ্য ওড়িশার তেমনই কিছু ঠিকানার হদিশ।

Advertisement
তমোঘ্ন নস্কর
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০০
Share:
০১ ১৪

বেড়ানোর নামেই মন উড়ু উড়ু! যাওয়া হবে হবে থেকে অকুস্থলে পৌঁছে সফর- পুরোটা জুড়েই দেদার মজা। মন আনন্দে নেচে ওঠে সাত থেকে সত্তর, ছেলে-বুড়ো, পুরুষ-মহিলা প্রত্যেকেরই। এবং গন্তব্য যদি হয় একেবারে অন্য স্বাদের অচেনা কোনও জায়গা, তবে তো কথাই নেই! পাশের রাজ্য ওড়িশায় তেমনই কিছু ঠিকানার সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির আনন্দবাজার অনলাইন।

০২ ১৪

গন্তব্য ১ : কোরাপুট শবরা শ্রীক্ষেত্র - পূর্বঘাট পর্বতমালার কোলে ওড়িশার কোরাপুট। ট্রেন থেকে নেমে গাড়ি ভাড়া নিয়ে সড়কপথে চলুন জগন্নাথ দেবের মন্দিরে। পুরীর মন্দিরের আদলে এই মন্দির পাহাড়ের বেশ কিছুটা উপরে। বাড়তি পাওনা স্থানীয় আদিবাসী শবরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জীবনযাত্রাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ। ধুমধাম করে রথযাত্রা করেন তাঁরাই।

Advertisement
০৩ ১৪

গন্তব্য ২ : রাজা বিক্রমাদিত্যের ৩২ সিংহাসন - বহুচর্চিত এই সিংহাসন বর্তমানে মাটির তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই জায়গা ও তার আশপাশ সবুজে ঘেরা। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ও নিরিবিলি পরিবেশে কিছু ক্ষণ সময় কাটানোই যায় স্বচ্ছন্দে।

০৪ ১৪

গন্তব্য ৩ : ছোট ডুডুমা জলপ্রপাত - কোরাপুট থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে নন্দপুর গ্রাম। সেখানেই এই জলপ্রপাত। পাহাড় ঘেরা পথ ধরে চলতে চলতে যত দূর চোখ যায়, শুধু সবুজ আর সবুজ। তার মাঝে উঁকি দিচ্ছে লালমাটি। কোরাপুট-জগদলপুরের পথে কিছুটা এগোলে ছোট ডুডুমা জলপ্রপাত, যার নাম রানি ডুডুমা। বেশ কিছু সিঁড়ি ও কিছুটা পাহাড়ি পথে পেরিয়ে পৌঁছে যান একেবারে সামনে। সে রূপ ভোলার নয়!

০৫ ১৪

গন্তব্য ৪ : গণেশ মন্দির - শহর থেকে প্রায় দু'ঘণ্টার পথ পেরিয়ে এই গণেশ মন্দির। রাস্তায় পড়ে দেওমালি ভিউ পয়েন্ট। ওড়িশা রাজ্যের সর্বোচ্চ পয়েন্ট এটি। আকারে বিশাল টেবিল টপ-এর মতো। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমাহারে নয়নাভিরাম এই ভিউ পয়েন্ট থেকে খুব ভাল ভাবে সূর্যাস্ত দেখা যায়। এ অঞ্চলে বসবাস করে কানধাস, ভূমিয়া ও মালিস উপজাতি।

০৬ ১৪

গন্তব্য ৫ : দমনজোরি - শুধু দমনজোরিতেই তিনটি দর্শনীয় স্থান আছে। প্রথমে হনুমান মন্দির। এখানকার সুবিশাল মূর্তি সত্যিই দেখার মতো। দ্বিতীয় গন্তব্য সাইবাবার মন্দির। যার গঠনশৈলী দেখে সত্যিই চমক লাগবে। মন্দিরের উল্টো দিকে সুদৃশ্য পার্কটি তিন নম্বর দর্শনীয় স্থান।

০৭ ১৪

গন্তব্য ৬ : কাটা বাসনি - এ অঞ্চলের এক অতি পবিত্র পূজনীয় স্থান এটি। বাঁশ গাছকে পুজো করা হয় এখানে। তাই এই অঞ্চলে কেউ বাঁশ গাছ কাটে না।

০৮ ১৪

গন্তব্য ৭ : কোলাব ড্যাম - সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯১৪ মিটার উচ্চতায় এই বাঁধ। একটি 'আপার' ও একটি 'লোয়ার ড্যাম' মিলিয়ে এই কোলাব ড্যাম। জলাধারের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপের মতো তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভারী সুন্দর দেখায় সেগুলো। 'আপার ড্যামে'র চার পাশে রয়েছে সুন্দর সাজানো বাগান। শান্ত, নিরিবিলি সেই বাগানে প্রায় দুশো রকম ফুলের গাছ রয়েছে।

০৯ ১৪

গন্তব্য ৮ : বড় ডুডুমা জলপ্রপাত - ক্লাব ড্যাম পেরিয়ে পাহাড়ি পথে কিছু দূর এগোলেই আর একটি জলপ্রপাত। স্থানীয় ভাষায় তার নাম 'বড় ডুডুমা'। গাড়ি একটি সমতল জায়গায় পৌঁছলেই কানে আসবে তার গর্জন। কিছুটা এগোলে পুরোপুরি ধরা দেবে ডুডুমার অপরূপ সৌন্দর্য। কষ্টিপাথরের পাহাড় ভেদ করে ছিটকে বেরিয়ে আসা ফেনিল জলরাশির আছড়ে পড়ছে অনেক নীচে। তার পাশ দিয়ে সিঁড়ি। যা বেয়ে নেমে পৌঁছনো যায় ডুডুমার আরও কাছাকাছি।

১০ ১৪

গন্তব্য ৯ : গুপ্তেশ্বর মন্দির - কোরাপুটের রামগিরি জঙ্গলের মধ্যে এক ঐতিহাসিক স্থান গুপ্তেশ্বর গুহা ও মন্দির। এখানকার শিবলিঙ্গ মাটি ফুঁড়ে উঠেছে। বেশ কিছু সিঁড়ি ভেঙে এই মন্দিরে যেতে হয়। কাছেই বয়ে চলেছে খরস্রোতা সাবেরী নদী।

১১ ১৪

গন্তব্য ১০ : কাঙ্গের গড় জাতীয় উদ্যান - আগে এর নাম ছিল কাঙ্গের ঘাঁটি জাতীয় উদ্যান। প্রায় ২০০ বর্গ মাইল ঘন জঙ্গলে ভরা এই জাতীয় উদ্যান। কোরাপুট থেকে জগদলপুর হয়ে যেতে হয় এই সংরক্ষিত অরণ্যে। এই অঞ্চলে রয়েছে কুটুমসার গুহাও। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস এই গুহায় জল ঢোকে। সে সময়ে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে গুহা।

১২ ১৪

গন্তব্য ১১ : তিরথগড় জলপ্রপাত - জগদলপুরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৩৫ কিলোমিটার দূরে এই জলপ্রপাত। কাঙ্গের নদীর জলে তৈরি, ২৯৯ ফুট উঁচু থেকে পড়া জলপ্রপাতটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। অনেকগুলো অংশ থেকে নেমে আসে জলধারা।

১৩ ১৪

গন্তব্য ১২ : চিত্রকূট জলপ্রপাত ওরফে ভারতের নায়াগ্রা - ছত্তীসগঢ় রাজ্যের বস্তার জেলায় জগদলপুরের পশ্চিমে চিত্রকূট জলপ্রপাত। শহর থেকে দূরত্ব ৩৮ কিলোমিটার। বিন্ধ্য পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে কালাহান্ডি অঞ্চল হয়ে ইন্দ্রাবতী নদী সৃষ্টি করেছে এই জলপ্রপাত। তার পরে মিলিত হয়েছে গোদাবরী নদীর সঙ্গে। তিনটি ভিন্ন ধারায় ৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে এই জলপ্রপাত নীচে পড়ে। বর্ষাকালে সবক'টি ধারা একত্রিত হয়ে বিশাল আকার ধারণ করে আছড়ে পড়ে নীচে। বিপুল জলরাশি ধোঁয়ার মতো দেখায়। কানে তালা ধরায় তার গর্জন। সাধে কি তাকে বলে ভারতের নায়াগ্রা!

১৪ ১৪

কী ভাবে যাবেন - হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া-সম্বলপুর জগদলপুর এক্সপ্রেসে কোরাপুট স্টেশন। বাকি সব দর্শনীয় স্থান ঘুরে গাড়িতে বা বাসে বস্তার জেলা। সেখানেই ভারতের নায়াগ্রা। থাকার জায়গা - শহর কেন্দ্রিক বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। কোথাও কোথাও গেস্ট হাউসে থাকতে হয়। কিছু জায়গায় 'হোম স্টে' পাবেন। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement