এটি প্রচলিত ন্যানো সিমের চেয়েও অনেক ছোট আকারের হয়।
কলকাতায় পাওয়া যাচ্ছে ই-সিমের সুবিধা। মুম্বই, দিল্লি, গুজরাত, কর্নাটক, পঞ্জাব, গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্রে আগেই চালু হয়েছিল এই সুবিধা।
ই-সিমের সম্পূর্ণ নাম হল এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডেল। এটি কোনও ফিজিক্যাল সিম কার্ড নয়। অর্থাৎ, প্রচলিত সিমকার্ডের মতো এমবেডেড সিম আলাদা করে খোলা বা লাগানোর কোনও সুযোগ নেই। এটি প্রচলিত ন্যানো সিমের চেয়েও অনেক ছোট আকারের হয়। এক ধরনের কানেক্টিং চিপ হিসেবে এটি ডিভাইসের মাদার বোর্ডে সংযুক্ত করা হয় ডিভাইস তৈরির সময়ই। তাই এটিকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল সিম কার্ডও বলা যায়।
প্রথমত, অ্যাপল ফোনের সব রকম হ্যান্ড সেটেই থাকে ই-সিমের সুবিধা। তার মধ্যেও যে ফোনগুলিতে পাবেন এই পরিষেবা সেগুলি যথাক্রমে—আইফোন ১১, আইফোন ১১ প্রো, আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স, আইফোন এসই, আইফোন এক্স, আইফোন এক্সআর, আইফোন ১২ মিনি, আইফোন ১২, আইফোন ১২ প্রো, আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স। এ ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েডের মধ্যে স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ, স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২১+ ৫ জি, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২১ আল্ট্রা ৫ জি, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২০, স্যামসং গ্যালাক্সি এস ২০ +, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২০ আল্ট্রা, স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আল্ট্রা ৫ জি, স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০, স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ২, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২১ ৫ জি এই সব মোবাইলগুলিতে পাবেন এই সুবিধা।
কী ভাবে এই পরিষেবা চালু করবেন নিজেদের ফোনে?
১. ১৯৯ নম্বরে eSim <space> লিখে নিজের মেল আইডি উল্লেখ করে এসএমএস করতে হবে।
২. মেল আইডি নম্বরের সঙ্গে রেজিস্টার্ড না থাকলে আগে ১৯৯ নম্বরে email <space> লিখে নিজের মেল আইডি উল্লেখ করে এসএমএস করতে হবে।
৩. এর পর মোবাইল নম্বরে ১৯৯ থেকে এসএমএস আসলে eSIM পরিষেবা নেওয়ার জন্য সেই এসএমএস-এর উত্তরে ESIMY লিখে পাঠাতে হবে।
৪. এবার ১৯৯ থেকে আরও একটি এসএমএস আসবে, যা কলের মাধ্যমে সম্মতি জানানোর অনুরোধ করবে।
৫. সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে আসা কলে সম্মতি দিলে রেজিস্টার্ড মেল আইডি-তে একটা কিউআর কোড আসবে।
৬. এই কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম নিজের ফোনে চালু করা যাবে।