নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে ইদানীং যোগ হওয়া বেশ কিছু নতুন অভ্যাস হয়তো বা দীর্ঘ দিনের সঙ্গী হতে চলেছে। করোনার আবর্তে এখন যেমন মাস্ক হয়ে উঠেছে জীবনের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। রোজকার দিনযাপন তো বটেই, এমনকি ফ্যাশনের দূনিয়াতেও এখন বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে মাস্ক। এ বার গবেষকেরা নিয়ে এলেন এমন একটি ইলেক্ট্রনিক মাস্ক, যা নাক বা মুখ দিয়ে ঢোকা বাতাসকে ৪টি ফিল্টারের সাহায্যে ৯৮ শতাংশ শুদ্ধ করে তবেই শরীরে প্রবেশ করতে দেবে। এমনটাই দাবি প্রস্তুতকারক সংস্থার।
মাস্ক নয়, বরং এটি আসলে এয়ার পিউরিফাই করার গ্যাজেট, যা মাস্কের মতোই মুখে পরে থাকতে পারবেন। তার আবরণ ট্রান্সপারেন্ট বা স্বচ্ছ হওয়ায় আপনার মুখের সমস্ত অভিব্যাক্তিও সঠিক ভাবে দেখতে পাবেন আপনার সঙ্গে থাকা মানুষজন। এই মাস্ক এমন ভাবে মুখে এঁটে থাকে, যাতে বাইরের বাতাস পরিশুদ্ধ না হয়ে কোনও ভাবেই শরীরে প্রবেশ করতে না পারে।
প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, এখন বায়ু দূষণের মাত্রা যে হারে বাড়ছে, তা থেকেও রক্ষা করবে এই মাস্ক। আরও একটি বিষয় তাঁরা বার বারই মনে করিয়ে দিচ্ছেন- সাধারণ মাস্ক টানা পরে থাকতে গিয়ে মুখ বারে বারে ঘেমে যায়। এই মাস্ক সেটিও হতে দেবে না। সঙ্গে উপরি পাওনা এর ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। তার সাহায্যে আপনার নাগালে থাকবে বহু তথ্যও।
আরও পড়ুন: মোবাইলের ছবি প্রিন্ট করবেন? ব্যাগেই থাক খুদে প্রিন্টার
থাকছে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির সুবিধাও
বিশ্ব জুড়ে আধুনিক এই মাস্কটির পরিচয় ‘এও এয়ার দ্য অ্যাটমোস ওয়্যারেবল এয়ার পিউরিফায়ার (Ao Air The Atmōs Wearable Air Purifier)’। গত জুলাই মাসে বিশ্ববাজারে এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। প্রি বুকিং-এর ঘোষণাও করেছিলেন প্রস্তুতকারকেরা। সেই স্টক নিমেষে শেষ।
আপাতত এই আধুনিক মাস্ক পাওয়া যাবে অনলাইনে। দামের বিষয়টা একটু উহ্যই থাক। কারণ এর দাম একটু বেশির দিকেই। আর রেটিং ১০ এ ৯.৮। প্রস্তুতকারকদের দাবি, বাতাস পরিশোধনের নিরিখে সাধারণ মাস্কের তুলনায় ৫০ গুণ বেশি ক্ষমতা ধরে এই গ্যাজেটটি।