ananda utsav 2022

নেশা করে গাড়ি চালালে বিপদ তো হবেই, সঙ্গে বাড়বে ঝঞ্চাটও!

‘যারা সা ঝুম লু ম্যায়…’ মনে হলে পরের লাইনটা ভাবুন। ‘আরে না রে না রে না’।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি

সুইজারল্যান্ডের রাস্তায় নেশা ও প্রেমে মগ্ন বলিউডের অন্যতম জুটি কাজল-শাহরুখ। ব্যাকগ্রাউন্ডে আশা ভোঁসলের গান। যে কোনও প্রেমিক মনের কাছেই সে দৃশ্য রোম্যান্টিক। কিন্তু এটা তো তিলোত্তমা! এখানে ওভাবে প্রেম করলে আপনি কেস খাবেন নিশ্চিত। শুধু তাই নয় নেশা করে বাইক চালাতে গিয়ে যদি ধরা পড়েন কলকাতা পুলিশের কাছে, তবে কোনও সেলিম খান আপনাকে বাঁচাতে পারবে না! তাই পুজোর আবহে যদি ‘যারা সা ঝুম লু ম্যায়…’ লাইনটা মনে উঁকি দেয় তবে, পরের লাইনটাও ভাববেন – ‘আরে, নারে নারে না।’

Advertisement

লোকে বলে সিনেমা সমাজকে উৎসাহিত করে, টি ভি র পর্দায় স্বপ্নের নায়ককে মদ্যপান করতে দেখে কিশোর মনে বিপথে পরিচালিত হয়। আসলে ওরা বিশেষ দৃশ্যের নীচে ‘মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষ ক্ষতিকর’ সেই সতর্ক বার্তাটি দেখে না! দেখলেও মানে না। এটাই বাস্তব!

অল্প বিস্তর নেশা ভাল, এ কথা উঠছে তার কারণ, দেশ থেকে মদের দোকান উঠে যায়নি। অদূর ভবিষ্যতে যাবে বলেও আশা করা যায় না। এখানে ইকোনমি লুকিয়ে। তার প্রমাণ করোনা আবহে মদের দোকানের লাইন দেখেই জনগণ টের পেয়েছেন ইতিমধ্যে। ওই সময় মানুষের চাকরি গেছে, মাইনে কমেছে, কমেনি শুধু মদ বিক্রি। মানুষ ডাক্তারের বারণ উপেক্ষা করেও তো মদ খান; শুধু তাই নয় খেয়ে গাড়িও চালান। ঠিক যেন 'পিপীলিকার পাখা গজানোর মতোই'।

Advertisement

মায়া, প্রপঞ্চময়! তাই ক্ষতি স্বীকার করেও মানুষ মদ খেয়ে গাড়ি চালায়। সমীক্ষা বলছে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি বাইকের লাইসেন্স বাতিল হওয়ার মুখে ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভ কেসে। বিগত কয়েক মাসে এটি বেড়েছে। সূত্র অনুসারে এই সংখ্যা ৪০% বেশি তুলনামূলকভাবে। অথচ ব্রেথঅ্যানালাইজার টেস্টে চেক করে ফাইন করা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই মদ খেয়ে ড্রাইভিং বন্ধ করার, অন্তত লালবাজার তাই মনে করছেন। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এই পরিপ্রেক্ষিতে। তবু মানুষ সচেতন নন। ওই যে মায়া, যেন পণ করেছেন ''মুঝকো পিনা হ্যায় পিনে দো''।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement