শোনা গেল, এটিই হল উত্তর কলকাতার সব থেকে পুরনো বারোয়ারি পুজো। ১১৩ বর্ষে পা দিল এই পুজো। চলতি বছর একদম সনাতনী ধারায় পুজো হতে চলেছে শ্যামপুকুর আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির মণ্ডপে।
ক্লাবের অধিকর্তা অলোক চক্রবর্তী জানালেন, ‘‘আমাদের পুজোর মূল বৈশিষ্ট্য হল গত দীর্ঘ ১১৩ বছরে বিন্দুমাত্র বদলায় আমাদের ঠাকুরের কোনও আদল। নতুনত্বের মধ্যে একশ বছর টানা সাবেকি ধারায় পুজো হওয়ার পর আমরা থিম পুজোর ধারায় পা দিয়েছিলাম। তবে এই বছর আমরা আবারও ফিরে এসেছি সাবেকি পুজোর ধারায়। আমাদের পুজোর প্রধান আকর্ষণ হল সাড়ে পাঁচ হাত উঁচু চালচিত্র। অর্থাৎ ওই নির্দিষ্ট উচ্চতার বেশি ঠাকুর কখনওই বড় করা হয় না। ঠাকুর তৈরি মাটির হিসেবও হয় পোয়া ধরে, অর্থাৎ নির্দিস্ট মাপের সাড়ে ১৪ পোয়া মাটি দিয়ে তৈরি হয় এই প্রতিমা”।
এই বছরে থিমের নতুন কোনও চমক না থাকলেও, থাকছে বনেদিয়ানায় ভরা পুরনো কলকাতার দুর্গাপুজোর স্বাদ। প্রতিমা এখানে একচালা ধাঁচেরই হয়। ঠাকুরের জন্য অন্নভোগ রান্না হয় না, আর পশুবলিরও কোনও নিয়ম রীতি নেই।
কী ভাবে যাবেন?
হাতিবাগান থেকে টাউন স্কুল পড়বে, তার পাশ দিয়ে শ্যামপুকুর স্ট্রিট সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলেই পড়বে রামধন মিত্র লেন। সেখানেই ডান হাতে পেয়ে যাবেন এই পুজো মণ্ডপ।
প্রতিমা শিল্পী- শৈলেন পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।