এ যেন প্রকৃত অর্থেই ‘একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু – মুসলমান।’ এখানকার কালী পুজোয় যে শুধু হিন্দুরা মজা করেন তাই নয়, বরং তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকে মুসলমানরাও।
আজ থেকে প্রায় ১৪৯ বছর আগে শুরু হয় এই পুজো। মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামপুর গ্রামের এই কালী পুজো যেন বন্ধনের প্রতীক।
পুজো কমিটির সভাপতি হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সম্পাদক শ্যামল পাইন জানান, এই পুজোর শুরু লক্ষ্মীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। প্রথম ৮ বছর এই পুজো হয় তাঁর বাড়ির সামনেই।
তার পরে পরিবর্তন করা হয় পুজোর জায়গার। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পুজোর জৌলুসও। জন্ম লগ্নে এত আড়ম্বর না থাকলেও, বর্তমানে মায়ের আরাধনা হয় বেশ বড় করেই।
এখানে মায়ের সঙ্গে পুজিত হন মহাদেবও। ত্রিশ ফুট উঁচু সুদৃশ্য মন্দিরে হয় দেবী কালীর আরাধনা। মূর্তির উচ্চতা থাকে ২৩ ফুট। সঙ্গে পাশেই থাকে মহাদেবের বিশ্ব মূর্তি। যার উচ্চতাও হয় ২১ ফুট।
আজও এই পুজোয় রয়েছে ছাগ বলির প্রথা। তবে তা কিন্তু হয় সম্পূর্ণ নিয়ম কানন মেনেই। প্রথা মেনে পুজোর প্রথম দিন এবং ভাইফোঁটার দিন হয় এই পাঁঠা বলি।
ভক্তদের মনে রয়েছে অগাধ বিশ্বাস। মানুষের ধারণা দেবীর নাম করে মাদুলী ধারণ করলে সেরে যায় মারাত্মক রোগ ব্যাধিও।
শুধু যে পুজোতে আড়ম্বড় থাকে তাই নয়। পুজো উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের বিতরণ করা হয় বস্ত্র। থাকে ভোগ বিতরণের ব্যবস্থাও। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বসে যাত্রা থেকে বাউল গানের আসর।