এই বিজয়া অন্য ভাবে
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এমন মানুষ রয়েছে যাঁদের আলাদা করে কোনও পরিচিতির প্রয়োজন হয় না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে এমন ভাবে জুড়ে থাকেন যে তাঁদের এক দিনের অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দেয় তাঁদের প্রয়োজনীয়তার কথা। অথচ এই মানুষগুলিকে কখনও আলাদা করে ধন্যবাদ জানানো হয়ে ওঠে না। সময় হয়ে ওঠে না তাঁদের সঙ্গে উৎসবের মরশুমের একটা অংশ ভাগ করে নেওয়ার।
সেই ফাঁকা জায়গা পূরণের জন্যেই, এই বছর পুজোয় নিজের ‘কাছের মানুষ’দের সঙ্গে বিজয়া উদযাপনে মাতলেন টলিপাড়ার তারকারা। কারও বা অ্যাসিস্ট্যান্ট, কারও সাপোর্ট স্টাফ, কখনও বা বাড়ির কাজের লোক, কখনও বা রান্নার লোক— গতে বাঁধা উদযাপন থেকে বের হয়ে এসে এই সব মানুষদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের পরিবারকে মিষ্টিমুখ করালেন সৌরভ, সোহিনী, প্রিয়ঙ্কা, লগ্নজিতা, সাহেব, ঋদ্ধি, তনুশ্রী, ঋদ্ধিমারা। লাইভ চ্যাটে উঠে এল তাঁদের মধ্যে জমে থাকা, না জানা কত গল্প। দেখুন সেই ভিডিয়ো।
উৎসবের মরসুমের শেষে বিজয়া জানাতে চেতলা থেকে সৌরভ গিয়ে দেখা করলেন তার অ্যাসিস্ট্যান্ট পিন্টুর বাড়িতে।
অভিনেত্রী সোহিনী সরকার গিয়ে পৌঁছলেন তাঁর হেয়ার স্টাইলিস্ট পূজার বাড়িতে।
তনুশ্রী চক্রবর্তী পৌঁছলেন ফরিদাদির বাড়িতে। রান্না থেকে ঘর গুছিয়ে রাখা, এই ফরিদাদি তনুশ্রীর বাড়ির সমস্ত কিছুর দিকে খেয়াল রাখেন।
লগ্নজিতা পৌঁছলেন তাঁর প্রিয় সুমিতা পিসির কাছে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে লগ্নজিতার গোটা পরিবারের খেয়াল রেখেছেন সুমিতা পিসি।
সাহেব নিজের গল্ফগ্রিনের বাড়ি থেকে চলে এলেন তাঁর পুরনো বাড়িতে। যেখানে রয়েছেন তাঁর প্রিয় পিসি। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে পিসি আছেন সাহেবের পরিবারের সঙ্গে। সাহেবের বড় হয়ে ওঠার প্রতি মুহূর্তের সাক্ষী তিনি।
ঋদ্ধিমাও পৌঁছে গেলেন তাঁর পুরনো বাড়ি সাউথ সিটিতে। যেখানে তাঁর বাবার সঙ্গে থাকেন অনন্ত দা থুড়ি অনন্ত। প্রায় দু’ দশকেরও বেশি সময় ধরে ঋদ্ধিমার পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন অনন্ত। ঋদ্ধিমার ছেলেবেলা, স্কুলে যাওয়া, রাত করে বাড়ি ফেরা, বাবা-মার বকুনির হাত থেকে বাঁচানো, সবেতেই যেন জড়িয়ে রয়েছেন ঋদ্ধিমার অনন্ত।
বিজয়া জানাতে প্রিয়ঙ্কা পৌঁছে গেলেন তাঁর গাড়ি ড্রাইভার, পথচলার সর্ব ক্ষণের সঙ্গী পিন্টু দার বাড়িতে। পিন্টু দার পরিবারের সকল নিয়ে চলল বিজয়া উদ্যাপন। সঙ্গে মিষ্টিমুখ।
একাদশীর দিন ঋদ্ধি দেখা করে এলেন তাঁর স্বপ্নসন্ধানী দলেরই অন্যতম শিরদাঁড়া রবি কাকার সঙ্গে।