সিঁদুর খেলা
দশমী মানেই উমার ঘরে ফেরার পালা আর বাঙালির চোখে জল। দুর্গাপুজো তো তার কাছে শুধু উৎসব নয়, আবেগের আর এক নাম। তাই হাতে নতুন ক্যালেন্ডার পাওয়ার পরেই যে দিনটির দিকে আগে চোখ রাখে বাঙালি, সেটি দুর্গাপুজো।
দশমীতে ঢাকের বাদ্যি, উলুধ্বনি আর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে বাঙালি। শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখে শেষ হয় উৎসব। আবার অপেক্ষা এক বছরের।
দশমীর দিন যে রীতির জন্য বাঙালি নারী অপেক্ষায় থাকে, সেটি হল সিঁদুর খেলা। সিঁদুর ব্রহ্মার প্রতীক। ব্রহ্মা জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করে আনন্দে ভরে রাখেন বলেই হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, সিঁথিতে সিঁদুর পরলে কপালে ব্রহ্মা অধিষ্ঠান করেন। এই কারণে দশমীর দিন সিঁদুর খেলার এই প্রচলন বলে মনে করেন অনেকে।
একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করা হয়।
গীতা অনুসারে কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে কৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করে গোপিনীদের সিঁদুর খেলার উল্লেখ পাওয়া যায়। দশমীর দিন বিবাহিত মহিলারা আগে দেবীকে বরণ করেন। তাঁর কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে, সেই সিঁদুর একে অন্যের সিঁথিতে দেন। মনে করা হয় এটি সৌভাগ্যের প্রতীক।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।